সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় টেঙ্গুয়া। নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্মৃতি রয়েছে এই টেঙ্গুয়ায়। এলাকাটি নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। ২০২১ সালে এই ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৪৮৫৬ভোটের লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০২৩ সালে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করে গেরুয়া শিবির। অথচ পঞ্চায়েত ভোটের পর বিজেপির এরকম একটি শক্তপোক্ত এলাকা থেকে অনেকেই দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির ভোট কাণ্ডারীরা এখন নিজেদের পুরনো দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে। রাখহরি বলেন, বিজেপি আমাদের ঠকিয়েছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের ভোট আদায় করেছে। লোকসভা ভোটে আমরা তৃণমূলকে জিতিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করব।
শুধু ভেকুটিয়া নয়, সোনাচূড়া, গোকুলনগর সহ নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের অনেক জায়গায় ’২১-এর ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করা লোকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীদের সেই জোশ নন্দীগ্রামে ফিকে হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে বিজেপির কয়েকজন গোপনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছেন বলেও খবর। এই অবস্থায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে লিড নেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। গড়রক্ষায় মরিয়া বিজেপিও। মঙ্গলবার সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত আমগেছিয়া সদানন্দ বাজারে এলাকায় বিজেপির সভা ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে বিরোধী দলনেতার কনভয় লক্ষ্য করে চোর স্লোগান ওঠে। সভা শেষে বিজেপি কর্মীরা ফেরার সময় গড়চক্রবেড়িয়ায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়। সেখানে বাইক ভাঙচুর হয়েছে। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিন। তার আগে আজ, বুধবার নন্দীগ্রাম বাইপাসে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সভার জোরকদমে প্রস্তুতি চলে। ভোটের মুখে হুমকি ধমকি ও হামলায় ঘটনায় জড়িত বিজেপি নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা জোগাড় করে বিডিও, থানার আইসিকে জমা দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি তৃণমূলের নন্দীগ্রামের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক অভিজিৎ দে আদক সেই তালিকা সরাসরি পুলিস সুপারের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ভোটের পরিবেশ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখার স্বার্থে দাগিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে তৃণমূল।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা স্বদেশ দাস বলেন, ২০২১সালে নন্দীগ্রামে মেরুকরণের ঘৃণ্য রাজনীতি আমদানি করেছিল বিজেপি। কিছু মানুষ তাতে প্রভাবিত হয়েছিলেন। এবার সেই কৌশল খাটছে না। বারবার মানুষকে বোকা বানানো যায় না। বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি যে হাওয়া তুলেছিল, এবার তার লেশমাত্র নেই। নন্দীগ্রাম থেকে লিড নেওয়ার বিষয়ে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পর কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ২০২১ সালে বিধানসভার পর ২০২৩ সালে পঞ্চায়েতেও আমরা নন্দীগ্রামে ভালো ফল করেছি। এবার লোকসভা নির্বাচনে আরও ভালো ফলাফল হবে