সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
পুজোর সূচনা কবে হয়েছিল তা গ্রামের প্রবীণরাও মনে করতে পারছেন না। বালিডাঙার বাসিন্দা রাজকুমার জানা বলেন, আমরা পূর্বপুরুষের মুখ থেকে শুনে এসেছি, একসময় আমাদের গ্রামে মহামারী শুরু হয়। প্রচুর মানুষ অনেকদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন। সেসময় কালীর আরাধনা করেই গ্রামবাসীরা ওই মহামারী থেকে মুক্তি পান। তখন থেকেই কালীর সঙ্গে মনসা ও গঙ্গার পুজো হয়ে আসছে। প্রথমদিকে মাটির দেওয়াল ও তালপাতার ছাউনি দিয়ে তৈরি মন্দিরে পুজো হতো। কিন্তু একসময় কোনও কারণে সেই মন্দির পুড়ে যায়। তারপর থেকে একই মন্দিরে ব্রহ্মার পুজোও সংযুক্ত হয়েছে।ধুমধাম করে একসঙ্গে এত দেবদেবীর পুজো করতে বিশাল টাকা ব্যয় হয়। কৃষক অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দাদের পুজো চালিয়ে যেতে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়। সেকথা ভেবেই প্রথমে ছ’বছর অন্তর পুজোর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েকবার ছ’বছর অন্তর পুজো চলার পর ১২ বছর অন্তর পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে ১২ বছর পরই পুজো হয়ে আসছে।
পুজো শুরুর এক মাস আগে প্রতিমা তৈরির জন্য মাটি তোলা শুরু হয়। তখন থেকেই সারা গ্রাম উৎসবমুখর হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, যে গ্রামের নামের শেষ দুই অক্ষরে ‘পুর’ রয়েছে সেই গ্রাম থেকেই মাটি তুলতে হয়। তাই বালিডাঙার পাশের গ্রাম হুগলি জেলার দামোদরপুর থেকে মূর্তি তৈরির মাটি তোলা হয়।
পুজো কমিটির কর্মকর্তা সুদর্শন সামন্ত, উৎপল মাজি, দিবাকর খাটুয়া জানালেন, এখন একটি সুদৃশ্য পাকা মন্দিরে পুজো হয়। পুজোর একদিন আগে থেকে এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়। পুজোতে বলিও হয়। আটদিন ধরে প্রচুর অনুষ্ঠান থাকে। মেলায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। সেজন্য মন্দির লাগোয়া কৃষিজমিতে পুজোর বছর এই মরশুমে চাষ করা হয় না।
সুদর্শনবাবু বলেন, দাবদাহকে উপেক্ষা করেই কয়েকটি গ্রামের মানুষ একসঙ্গে এই ক’টা দিন আনন্দে মেতে ওঠেন। যে আনন্দ দুর্গাপুজোকেও ছাড়িয়ে যায়।