সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
তৃণমূল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথের ভোটারদের চার ভাগে ভাগ করেছে। প্রথম তালিকায় রয়েছেন দলের নেতা ও সক্রিয় কর্মী এবং তাঁদের বাড়ির ভোটার। দ্বিতীয় তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ভোটার, তৃতীয় দোদুল্যমান ভোটার এবং চতুর্থ কট্টর তৃণমূল বিরোধী ভোটার। তৃণমূলের নেতারা বলেন, আমরা প্রত্যেক বুথে প্রতি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। যাঁরা তৃণমূলের বিরোধী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের বাড়ি গিয়েও আমাদের দলের স্লিপ, ইভিএমের ছবি দেওয়া নমুনা ব্যালট দিয়ে আসছি। আমরা জানি তাঁরা আমাদের ভোট দেবেন না। তবুও যাচ্ছি। তৃণমূলের কর্মী ও নেতাদের বাড়ির ভোট নিয়ে দলের স্বাভাবিকভাবেই কোনও চিন্তা নেই। তৃণমূলের দাসপুর-১ ব্লক কমিটির সভাপতি সুনীল ভৌমিক ও দাসপুর-২ ব্লক কমিটির সভাপতি সৌমিত্র সিংহরায় বলেন, আমরা দলের সমর্থক ও দোদুল্যমান ভোটারদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে ‘ওয়ান ইজ টু ওয়ান’ প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুনীলবাবু বলেন, আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যখন পাঁচ-সাত জন কারও বাড়িতে প্রচারে যাই, তখন দোদুল্যমান ভোটারদের দলের সপক্ষে বোঝাতে সমস্যা হয়। কিন্তু এলাকার যে দলীয় কর্মী বা নেতার সঙ্গে ওই দোদুল্যমান ভোটারের সম্পর্ক ভালো, তিনি যদি তাঁর সময়মতো বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়।সৌমিত্রবাবু বলেন, আমরা বুথ ভিত্তিক দোদুল্যমান ভোটারদের একটি তালিকা করেছি। কোন ভোটারকে কোন কর্মী বা নেতা বোঝানোর দায়িত্ব নেবেন, সেই তালিকাও তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আজ থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সন্তর্পণে ওই কাজগুলি করে যাবেন। দোদুল্যমান ভোটারদের ভোট সুনিশ্চিত করার জন্য তৃণমূল প্রমিলা বাহিনীকেও কাজে লাগাচ্ছে।
দলের সাংগঠনিক জেলার সহকারী সভাপতি পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, মোটকথা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এবার বিজেপিকে আমরা কোণঠাসা করব। যদিও বিজেপি নেতা তথা ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, তৃণমূল যেমনই থিয়োরি প্রয়োগ করুক, ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারবে না। মনে প্রাণে ভোটাররা বিজেপিকেই চায়।