নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচন শেষ হতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের বুথ সভাপতিদের উপর চড়াও হয়। দুই জায়গাতেই ভেঙে দেওয়া হয় বিজেপির নির্বাচনী ক্যাম্প। ফুলিয়ার বেলমাঠ এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির এক বুথ সভাপতি সুব্রত ঘোষ। অন্যদিকে নবলা পঞ্চায়েতের বুইচা ঘোষপাড়া এলাকায় আরএক বুথ সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষের উপর হামলা চলেছে। আক্রান্ত অবস্থায় সুব্রত ঘোষ এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও দুষ্কৃতীরা বিদ্যুৎবাবুর উপর চড়াও হয়ে বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর দলীয় কর্মীরাই তাঁকে আক্রান্ত অবস্থায় প্রথমে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যান। সেখান থেকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাতেই ফুলিয়া ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার দলের সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী ফুলিয়া ফাঁড়ি ঘেরাও করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকে। পরে পুলিসি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়। জেলা সভাপতি পার্থসারথিবাবু বলেন, গোটা রানাঘাট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হল। অথচ শান্তিপুর থানার অন্তর্গত শুধুমাত্র রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম ও শান্তিপুর এই দুই বিধানসভা তেই আক্রান্ত হলেন আমাদের কর্মীরা। তৃণমূলের মদতে দুষ্কৃতীরা বিজেপির উপর হামলা চালাচ্ছে। আর পুলিস চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভোটের দিনেই হার অনিবার্য বুঝে গিয়েছে বিজেপি। প্রশাসন অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভোটের দিন কাজ করেছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোল পাকাতে না পেরে ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পর নিজেরাই ইস্যু তৈরি করে এখন তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে। এসব ধোপে টিকবে না।