নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, সিউড়িতে সেভাবে কোনও কমিউনিটি হল নেই। তাই এবার আমরা কমিউনিটি হল গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে তা নির্মাণ করা হবে। বড়বাগান এলাকায় যে জমিটি রয়েছে, এদিন তা ঘুরে দেখা হয়েছে। এরপর প্রকল্পের কাজের জন্য রাজ্যে ডিপিআর পাঠানো হবে। তা মঞ্জুর হলেই দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
এদিন সভাধিপতির পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দীপ্তেন্দু বেরা, জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার আদ্যাচরণ হাজরা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা জমি পরিদর্শনে যান। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাগান এলাকায় জেলা পরিষদের নিজস্ব ৫৮ শতক জমি রয়েছে। সেখানেই কমিউনিটি হল গড়তে চায় জেলা পরিষদ। ওই কমিউনিটি হলে মিটিং করার জায়গার পাশাপাশি থাকবে খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা। অর্থাৎ গেস্ট হাউসও করা হবে। এছাড়া শৌচাগার, পার্কিং জোনের সুব্যবস্থাও করা হবে। বোলপুরে এধরনের কমিউনিটি হল থাকলেও জেলার সদর শহর সিউড়িতে সেই ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেই। তার ফলে সিউড়িতে কমিউনিটি হল না পেয়ে অনেকে সমস্যায় পড়েন। অনেকে এনিয়ে দাবিও করেছিলেন। সেই সমস্যা কাটাতেই জেলা পরিষদ সিউড়ি শহর লাগোয়া বড়বাগানে এই কমিউনিটি হল নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা করেছে। এই খবরে খুশি শহরের বাসিন্দারা।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, কমিউনিটি হল নির্মাণের পর তা প্রশাসনিক কাজে যেমন ব্যবহার যেতে পারে, তেমনই এই হল ভাড়া দিয়ে জেলা পরিষদেরও আয় হবে। সেই লক্ষ্যেই বীরভূম জেলা পরিষদ কমিউনিটি হল গড়ে এক ছাতার তলায় সবকিছুর ব্যবস্থা রাখতে চাইছে। এতে অনেকেরই সুবিধা হবে।
প্রসঙ্গত, পর্যটনের ক্ষেত্রে অন্যতম জেলা হল বীরভূম। জেলার মধ্যে শান্তিনিকেতন ও তারাপীঠের খ্যাতি দেশজুড়ে রয়েছে। পর্যটন দপ্তর শান্তিনিকেতনে বাউল বিতান গড়ছে। পর্যটন দপ্তর সেই নির্মাণ কাজে অর্থ বরাদ্দ করলেও জেলা পরিষদের তরফেই তা নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে তার কাজ শুরু করার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকার জন্য যেমন উন্নতমানের কটেজ করা হবে। তেমনই দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বাউল শিল্পীদের জন্য খোলা মঞ্চের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। বীরভূম জেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, বড়বাগানে আমাদের ৫৮ শতক জমির উপর কমিউনিটি হল গড়তে ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।