কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সেভ ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা ভাঁড়কাটা ও হিংলো পঞ্চায়েতের চাঁদা, সাগরবাঁধি, হরিণশিঙা প্রভৃতি আটটি গ্রামে পরিদর্শন করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের আওতায় সেখানে প্রায় ৩৪টি আসিবাসী গ্রাম রয়েছে। সেভ ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা এদিন আদিবাসীদের সঙ্গেই কথা বলেন। পরে বিকেলে ফিরে যান।
চঞ্চলবাবু বলেন, আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি তাঁরা কয়লাখনি করার বিপক্ষে রয়েছেন। সেখানে চিহ্নিত ৪৯৩একর প্রকল্প এলাকা রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১০০একর বনাঞ্চল রয়েছে। কয়লাখনি হলে ওই বনাঞ্চল কেটে ফেলা হবে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া সেখানে জীববৈচিত্র বিঘ্নিত হবে। কয়লা খাদান থেকে দূষণের ফলে সেখানকার মানুষ থাকতে পারবেন না। তাই তাঁরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে আন্দোলন করবেন। আমরা সেভ ডেমোক্রেসির তরফে তাঁদের আন্দোলনের পাশে থাকব।
অন্যদিকে আদিবাসী গাঁওতার নেতা সুনীল সোরেন বলেন, সেভ ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা এদিন গ্রামগুলি পরিদর্শন করে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানকার মানুষ কয়লা শিল্পের জন্য নতুন করে আর উচ্ছেদ হতে চান না। এর আগে পাথর শিল্প হলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার কোনও উন্নতি হয়নি।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পে ছাড়পত্র পাওয়ার ঘোষণা করেছেন। ওই এলাকায় উন্নতমানের কয়লা রয়েছে। তাই সেখানে প্রস্তাবিত কয়লাখনি হলে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান। পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বীরভূমের বিভিন্নস্তরে খুশির হাওয়া থাকলেও আদিবাসী সংগঠন উচ্ছেদের আশঙ্কা করেছে।