নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পাহাড়, সমতলে লাগাতার বৃষ্টিতে এমনিতেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে তিস্তা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে লোকালয়ে ঢুকে দাপিয়ে বেড়াল হাতির পাল। তিস্তাপাড়ের পাতকাটা  পঞ্চায়েতের মোড়লপাড়া, নাউয়াপাড়া, গুয়াবাড়ি, নাঠুয়াপাড়া, ছলিপাড়া, বাজিতপাড়া, কালিয়াগঞ্জ, ঢিঙপাড়া, ঠেঙ্গিপাড়ার মতো বিস্তীর্ণ এলাকায় হাতির পালটি ঘুরে বেড়ায়। দলে প্রায় ৭০টি হাতি ছিল। ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় হাতির পালকে গৌরীকোণ সংলগ্ন বসুনিয়াপাড়ায় জঙ্গলে পাঠায় বনবিভাগের কর্মীরা। হাতির পালটি পাতকাটা পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা, পাট খেত নষ্ট হয়েছে। তছনছ করেছে কলাখেত। ফের হাতির দল পাতকাটা সহ জলপাইগুড়ি শহরের দিকে চলে আসবে না তো? তা নিয়েই আতঙ্কে বাসিন্দারা। 
বনদপ্তর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের গৌরীকোণ জঙ্গল ছেড়ে তিস্তার চরে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির পাল। সেই দলে শতাধিক হাতি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টি একটি হাতির পাল বৃহস্পতিবার রাতে পাতকাটা পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরপর চারটি দলে ভাগ হয়ে পাতকাটার কালিয়াগঞ্জ, নাওয়াপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় হাতির পাল। জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মোবাইল পেট্রোলিং টিমের রেঞ্জার দর্জি শেরপা বলেন, বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাই, প্রায় ৭০টি হাতির  দল পাতকাটা গ্রামে ঢুকেছে। খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। জলপাইগুড়ি ডিভিশন ছাড়াও মাল স্কোয়াড, রামশাই স্কোয়াড, বেলাকোবা রেঞ্জ, বেলাকোবা স্কোয়াড, লাটাগুড়ি রেঞ্জের হাতি উদ্ধারকারী দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। এদিন সকালে গৌরীকোণ সংলগ্ন বসুনিয়াপাড়ায় হাতিগুলিকে ফেরানো সম্ভব হয়। পাতকাটা পঞ্চায়েতের নাওয়াপাড়ার বাসিন্দা মীরা দে বলেন, সকালে ঘুম ভেঙে থেকে উঠে দেখি, হাতির দল। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যদিও বনকর্মীদের তৎপরতায় হাতির পাল লোকালয় থেকে দূরে চলে গিয়েছে।