সংবাদদাতা, পতিরাম: চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ ঘিরে হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিবার ও পরিজনরা। অভিযোগ, গর্ভবতীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও সিজার করা হয়নি। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও জোর করে নর্মাল ডেলিভারি করা হয়। এতে শিশুর অবস্থার অবনতি হওয়ার একদিন পর তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছে রোগীর পরিবার। এদিন মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সুপার খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে দেখা হবে। গাফিলতির বিষয়টি প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃত শিশুর বাবা লুৎফর মণ্ডল বলেন, আমার স্ত্রীকে ভর্তি করার পর তার অবস্থা খারাপ হয়। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এরপর নর্মাল ডেলিভারি করা হয়। ফলে আমার কন্যাসন্তানের অবস্থা খারাপ হয়েছিল। চিকিৎসকের গাফিলতির জেরে সন্তানকে বাঁচানো গেল না। উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।
মৃত শিশুর আত্মীয় মৌসুমি খাতুনের কথায়, ভর্তি করানোর পরে গর্ভবতী সুস্থ ছিলেন। সিজার না করে নর্মাল ডেলিভারির সময় গাফিলতির জন্যই সদ্যোজাতর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে যায়। তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। চিকিৎসক অনেক দেরি করার শিশুটিকে এসএনসিইউতে ভর্তি করেও বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকই এর জন্য দায়ী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসূতির নাম হাসিমুন্নারা খাতুন (৪০)। বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের নাজিরপুর যশাহার এলাকায়। গত ১৮ তারিখ প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ১৯ তারিখ নর্মাল ডেলিভারিতে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, এরপর সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুর চিকিৎসা ঠিকমতো করা হয়নি।