কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা জানান, প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে বর্ষা নামার আগেই আমরা বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ হবে।
একইসঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত চলাকালীন কোথাও কোনও বাঁধ বা নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার মেরামতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় বালির বস্তা, নাইলনের নেট, বোল্ডার, তারজালি, বাঁশের খাঁচা তৈরি করে মজুত রাখা হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর সেচ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার নীরজকুমার সিং বলেন, আমরা জোরকদমে প্রাক বর্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। নদী বাঁধ ও স্লুইস গেট মিলিয়ে ১৯টি কাজ হচ্ছে। প্রাক বর্ষা প্রস্তুতির জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য।
রাজ্যের মধ্যে অন্যতম নদীমাতৃক জেলা উত্তর দিনাজপুর। এখানে উল্লেখযোগ্য নদীগুলি হল মহানন্দা, কুলিক, নাগর, সুই, টাঙ্গন, গামারি ও ডাউক। এর মধ্যে বর্ষার সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করে মহানন্দা। বর্ষায় বাংলাদেশের সমস্ত জল বয়ে নিয়ে আসে টাঙ্গন, কুলিক। নাগর নদীও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এছাড়াও স্থানীয় কিছু ছোট নদী রয়েছে এই জেলায়। প্রতি বছরই বর্ষার সময় নদীর ভয়াবহ রূপের কারণে বাঁধ এবং নদীর পাড় ভেঙে যায়। যার জেরে জেলার বেশ কিছু ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সেচদপ্তর সূত্রে খবর, জেলার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ হল রায়গঞ্জ মহকুমার ইটাহার ব্লকের ‘পাজল ফ্লাড কন্ট্রোল এমব্যাঙ্কমেন্ট’, রায়গঞ্জ শহরের ‘রায়গঞ্জ টাউন প্রোটেকশন এমব্যাঙ্কমেন্ট’ ও ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ব্লকের মহানন্দার বাঁ দিকে চিতরঘাটা ও রবীন্দ্রনগর বাঁধ। সেগুলির মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১০০ কিমি বাঁধ রয়েছে। গত বছর বর্ষায় জেলার অনেক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ষার জলের চাপে কিছু স্লুইস গেটেরও ক্ষতি হয়েছে। সেচদপ্তর ও জেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও স্লুইস গেটগুলিকে চিহ্নিত করেছে। এবছর এখন লোকসভা ভোটের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চলছে। ভোট পর্ব মিটতেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু করবে জেলা সেচদপ্তর।