কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ইংলিশবাজার শহরের বাজারগুলিতে সবুজ রঙের কাঁচা লিচু বিক্রি হচ্ছে বলে সোমবার ‘বর্তমানে’ খবর প্রকাশিত হয়। তারপরই তৎপর হয় প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে কাঁচা লিচু বিক্রি বন্ধ করায় ক্রেতারাও স্বস্তিতে। কারণ কাঁচা লিচু খেয়ে প্রাণ সংশয়ও হতে পারত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) পীযুষ সালুঙ্খে বলেন, এক লক্ষ ২৫ হাজার লিচু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ১৭ জন খুচরো এবং ১০ জন পাইকারী ফল ব্যবসায়ীকে এদিনের মতো দোকান বন্ধ করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন থেকে কাঁচা লিচু বিক্রি করবেন না, এই শর্তে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গাছপাকা লিচু বাজারে না আসা পর্যন্ত তা কেনা বা খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য জেলাবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপরেও কেউ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাঁচা লিচু বিক্রি করলে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
আমের মতোই লিচু উৎপাদনে মালদহের সুনাম রয়েছে। কালিয়াচক-১, ২ ও ৩ ব্লক এবং রতুয়া-১ ও ২ ব্লক এলাকার কিছু জায়গায় লিচুর চাষ হয়। জেলায় দু’ধরনের লিচু ফলে। যা বোম্বাই ও গুটি লিচু নামে পরিচিত। বোম্বাই লিচু মে মাসের শেষে বাজারে আসে। কিন্তু তার আগে গুটি লিচু বাজারজাত করা হচ্ছে। ওই লিচু কাঁচা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। সবুজ রঙের ওই লিচুর কোনও স্বাদ থাকে না। কাঁচা লিচুতে নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। যা পেটে গেলে ক্ষতি হয়। ছোটরা ওই লিচু খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদ। তবে লিচু পেকে গেলে ওই ধরনের রাসায়নিক আর থাকে না। ফলে গাছপাকা লিচু খাওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যর চিন্তা না করেই শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক লাভের জন্য কাঁচা লিচু বাজারে আনা হয়েছে। সচেতন গ্রাহকরা এই লিচু কিনছেন না। তবে ভুলবসত কেউ না বুঝে খেয়ে ফেললে তা স্বাস্থ্যর পক্ষে ক্ষতি করবে। তাই কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে জেলা প্রশাসন।