কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয়রা বলেন, অনেক দিনের পুরনো এই স্টেশনে আগে এই রুটে চলা সব ট্রেনের স্টপ ছিল। কিন্তু এখন বামনহাট-শিলিগুড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি আবুতারা স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করলেও দাঁড়ায় না। ফলে আমাদের বিভিন্ন কাজে কোচবিহার, ফালাকাটা, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে হলে দূরবর্তী স্টেশন বামনহাটে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। তাছাড়া এলাকার ছাত্রছাত্রীরা স্কুল, কলেজ কিংবা টিউশনি যাওয়ার জন্য দিনহাটা, দেওয়ানহাট, কোচবিহারে যায়। তাদেরও অন্য স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে চাপতে হয় কিংবা নামতে হয়। পাশাপাশি কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় ট্রেন না দাঁড়ানোয় চাষিদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য অন্যত্র নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই দীর্ঘদিন থেকে আবুতারা স্টেশনে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি দাঁড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হচ্ছে। আবুতারা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি মিলন সেন বলেন, আগে যখন মিটার গেজ লাইন ছিল তখনও সব প্যাসেঞ্জার ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়াত। এমনকী কোভিডের আগে পর্যন্ত সব প্যাসেঞ্জার ট্রেনের স্টপ ছিল। ট্রেনের স্টপ না থাকায় বিশেষ করে এলাকার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের বেশি অসুবিধা হচ্ছে। দিনহাটা-২ ব্লকে কোনও কলেজ না থাকায় এখানকার ছাত্রছাত্রীদের দিনহাটা, দেওয়ানহাট বা কোচবিহারে কলেজে পড়তে যেতে হয়। ট্রেনের স্টপ না থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কলেজ পড়ুয়াদের প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। বারবার রেলের কাছে স্টপ দেওয়ার দাবি জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার এলাকার মানুষকে নিয়ে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছি। এ ব্যাপারে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। নিজস্ব চিত্র