সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
শহরের ৪, ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড ঘেঁষে রয়েছে রায়ডাক এবং মরা রায়ডাক। কয়েকবছর থেকে পাড়বাঁধ দখল নিয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। দিনদিন এই প্রবণতা বাড়ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় আরও কিছু দোকান গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হচ্ছে, তেমনই নদীতে বর্জ্য মিশে বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নদীর পাড়বাঁধ দখল করে দোকান গড়ে ওঠায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন পরিবেশবিদরাও। তুফানগঞ্জ-১ ব্লক জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনার সম্পাদক সরোজকুমার পঞ্চানন বলেন, অবৈজ্ঞানিকভাবে দোকান গড়ে ওঠায় বাঁধে ফাটল তৈরির শঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে অবৈধ নির্মাণ হটিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজিত শীল বলেন, কয়েক বছর ধরেই রায়ডাক নদীর পাড়বাঁধ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বাঁধের উপর দোকান চলছে। এতে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন সকলে। যেভাবে দোকানগুলি তৈরি হয়েছে, তাতে বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বিজেপির তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, শহরের বুকে যেভাবে নদীবাঁধ দখল হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তুফানগঞ্জবাসীর স্বার্থে অবিলম্বে বাঁধ দখলমুক্ত না হলে আমরা আন্দোলনের পথ বেছে নেব। সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য অসীম সাহা বলেন, রাজ্যে পেটের দায়ে অনেকে দোকান খুলে বসেছে। অবিলম্বে প্রশাসন তাদের ব্যবসার বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে দিক।
এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তনু সেন বলেন, ব্যবসায়ীদের আগেও পাড়বাঁধ থেকে উঠে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তারা কর্ণপাত করেনি। সেচদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সেচদপ্তরের তুফানগঞ্জ মহকুমা আধিকারিক সৌরভ সেন বলেন, বহুবার পুর কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা পরিদর্শনে গিয়েছি। আবারও পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। তবে নতুন দোকান গড়ে উঠেছে কি না, তা নজরে নেই। নিজস্ব চিত্র