সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
সংগঠনগুলির দাবি, উত্তরবঙ্গে প্রথম এমন কাজ হচ্ছে। গাছ প্রতিস্থাপন দেখতে স্থানীয় মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এনিয়ে ওই এলাকায় সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী নিজেদের স্মার্ট ফোনে ওই মুহূর্তকে বন্দি করে রাখেন। জেলা পূর্তদপ্তর জানিয়েছে, মোট পাঁচটি পুরনো গাছ প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেই গাছগুলি বাঁচানো সবার মূল লক্ষ্য। সেজন্য রোপণের পর বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত এক মাস ধরে প্রতিদিন তিন হাজার লিটার জল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মালদহ জেলা পূর্তদপ্তরের আধিকারিক অসিত কুমার সাহা বলেন, বিভিন্ন মহলের দাবি অনুয়ায়ী প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে গাছগুলি বাঁচানো যাবে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ শহরের বুলবুলচণ্ডী মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ৩৩টি গাছ কেটে ফেলার জন্য বনদপ্তরের কাছে আবেদন করেছিল পূর্তদপ্তর। বিষয়টি নজরে আসতেই সরব হয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। যৌথভাবে তারা গাছ না কাটার পক্ষে আওয়াজ তোলে। সেখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি তারা। জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় বন আধিকারিকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বারবার। সাড়া মেলে বিভাগীয় বন আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের। কিছু গাছকে বাঁচিয়ে রাস্তা সংস্কারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাকি গাছগুলির ক্ষেত্রে অন্যত্র স্থানান্তরকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদহ জেলা কমিটির সম্পাদক সুতীর্থ নন্দী বলেন, সাড়ে তিন মাস আগে আমরা জানতে পারি ৩৩টি বড় গাছ কাটা যাবে। জেলার সব সংগঠন এক হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তর বিষয়টি উপলব্ধি করেছে। তারা কাজের নকশা বদলে দিয়েছে। নতুন নকশাতে ১১টি গাছ বাঁচানো যাবে না। সেজন্য পূর্তদপ্তর পুরনো পাঁচটি গাছ প্রতিস্থাপন করেছে। এই প্রতিস্থাপন উত্তরবঙ্গে প্রথম হচ্ছে। প্রতিস্থাপনের আগে গাছের মূল কাঠামো অক্ষত রেখে ডালপালা ছেঁটে প্রয়োজনীয় সার ও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহারের মাধ্যমে জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করা হয়েছে।