সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
রেলের কাটিহার ডিভিশন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে মহানন্দা নদীর উপর রেলের ব্রিজ রয়েছে। ওই ব্রিজ দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচল করে। পুরাতন মালদহ ও ইংলিশবাজার শহরে চলাফেরার জন্য ওই ব্রিজের উপর দিয়ে মানুষের যাতায়াতের রাস্তা নেই। তবুও মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলব্রিজের উপর দিয়েই পারাপার করে। অতীতে বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার ব্রিজের পাশে ফুটপাতের দাবি জানিয়েছেন। গত ২৮ জানুয়ারি ওই কাজের শিলান্যাস হয়। রেলমন্ত্রক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রেলের ব্রিজের পাশেই দু’দিকে ৪০০ মিটার লম্বা ও প্রায় ১ মিটার চওড়া ফুটপাত তৈরির অনুমোদন হয়। কিন্তু ওই কাজ এখনও এগয়নি।
পুরাতন মালদহের কালাচাঁদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুলরঞ্জন দাস বলেন, ওই পথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পড়ুয়া নয়, বহু ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজের পাশে ফুটপাত না থাকায় মানুষজন নৌকায় নদী পারাপার করেন। বর্ষা আসছে। তখন নদীর জল আরও বেড়ে যাবে। ফলে সেসময় সমস্যা হবে। ফুটপাত তৈরির কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হলে মানুষ নির্ভয়ে নদী পারাপার হতে পারবে। শিলান্যাসের দিন উপস্থিত ছিলেন পুরাতন মালদহের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা, কাউন্সিলার বাসন্তী রায় সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা নারকেল ফাটিয়ে কাজের সূচনা করেন। বিধায়ক গোপাল সাহা এবং পুরাতন মালদহ পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাসন্তী রায় বলেন, কাজটি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কেউ করতে পারেনি। আমরা রেলমন্ত্রকের কাছে একাধিকবার এনিয়ে তদ্বির করেছিলাম। সেজন্য কাজের সূচনা হয়েছে। নিশ্চয়ই আগামী দিনে কাজ শেষ হবে। কাজের অগ্রগতির জন্য আমরা স্থানীয় ডিভিশনের সঙ্গে কথা বলব। পরিকল্পনার থেকে একটু বড় ফুটপাতের জন্য কাজ দেরি হতে পারে। রেলের কাটিহার ডিভিশনের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, কী কারণে এমনটা হয়েছে তা রিপোর্ট নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। নিজস্ব চিত্র।