সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কোনও জায়গা নেই। স্থায়ী জায়গা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে। পাল্টা রাজ্য সরকার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে। প্রথমে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বালুরঘাটের চকভবানীর একটি ভাড়াবাড়িতে শুরু হয়েছিল। পরে অফলাইন ক্লাসের জন্য বালুরঘাট গার্লস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য একটি হস্টেল ভবন দেয়। এদিকে ভবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বালুরঘাট শহরের সত্যজিৎ মঞ্চ এলাকার একটি পুরসভার ভবন দেখে। পুরসভা ওই ভবনের ভাড়া অর্ধেক করেই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পুরসভার সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত হয় জানুয়ারিতে। ৩ জানুয়ারি ওই চুক্তির পরে মার্চ মাসেও ভবনটি পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে গার্লস কলেজের হস্টেল ছেড়ে দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। তাই অবশেষে বালুরঘাট বিএড কলেজের পুরনো একটি বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় চুক্তি করা পুরভবন তারা আর নিতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, গার্লস হস্টেল থেকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় সরিয়ে দিতে বলা হয়। এদিকে আমাদের জানুয়ারি মাসে পুরসভার ভবন নিয়ে চুক্তি হলেও সংস্কারের নামে তারা ভবন দিতে দেরি করেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়কে গাছতলায় বসানোর পর্যায়ে চলে এসেছিল। অনেক কষ্টে বিএড কলেজের পুরনো হস্টেলে আমাদের ঠাঁই মিলেছে। আপাতত এখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো করা হয়েছে। যেহেতু সময়ের মধ্যে আমরা পুরসভার ভবন পাইনি তাই ওই ভবন আর নিতে চাই না। একথা আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন ওই ভবনে আমাদের ২০০ বেঞ্চ রয়েছে। সেগুলি পুরসভা আটকে দিয়েছে। সেই বেঞ্চগুলি পেতে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।
পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, জেলার পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার স্বার্থে আমরা অর্ধেক ভাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের ভবন দিয়েছি। চুক্তির পরে টেন্ডার প্রক্রিয়া সারতে একটু দেরি হয়। বর্তমানে ভবনে সংস্কারের কাজও চলছে। দ্রুত আমরা ভবন দিয়েও দিতে পারব। কিন্তু কেন উপাচার্য এমন বলছেন জানা নেই। চুক্তি অনুযায়ী আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘর দিতে বদ্ধপরিকর। বেঞ্চ আটকে রাখার কোনও ব্যাপার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি সযত্নে ওই ভবনেই রাখা রয়েছে। নিজস্ব চিত্র