সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
সেচদপ্তর সূত্রে খবর, বর্ষা মোকাবিলার জন্য তিস্তা সহ বিভিন্ন নদীর পাড়ে চিহ্নিত স্পর্শকাতর জায়গায় বাঁধ উঁচু করার কাজ হচ্ছে জোরকদমে। নদী উপচে প্লাবন পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু দীর্ঘবছর ধরে উত্তরের কয়েকটি নদীতে জমে থাকা পলি এখন চিন্তার বিষয়। কারণ পাহাড়ি জলে পুষ্ট নদীবক্ষগুলি উঁচু হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম তিস্তা। সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের পর তিস্তাতেই সম্পূর্ণ প্রভাব পড়ে। কিছু জায়গায় নদীবক্ষ মাত্রাতিরিক্ত উঁচু হয়ে যায়। কোথাও ১ মিটার, কোথাও আবার উঁচু হয়েছে দেড় মিটার।
সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং শিলিগুড়ি মহকুমা মিলিয়ে অন্তত ১০৬ কোটি টাকার কাজ এখন চলছে। যার সিংহভাগই খরচ হচ্ছে তিস্তার দু’পাড়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য। কোথাও বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে। কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বর্ষার সময় যাতে প্লাবন পরিস্থিতি যতটা সম্ভব আয়ত্তে থাকে। আবার বর্ষা চলাকালীন জরুরি ভিত্তিতে যাতে বাঁধের কাজ করা যায়, তারও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, প্রস্তুতিতে কমতি না থাকলেও, তিস্তার নদী বক্ষ উঁচু হওয়ায় আমরাও একটু উদ্বেগেই আছি। কারণ, শুধুমাত্র সিকিম পাহাড়ে বা সমতলে বৃষ্টি হলে সমস্যা হবে না। সিকিম পাহাড়ে ও সমতলে একনাগারে ভারী বৃষ্টি হলেই সমস্যা হতে পারে। তার মূল কারণ, তিস্তার জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। আবার শুধু সেচদপ্তরই নয়, সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহাও বলেন, গতবছর অক্টোবরের সেই বিপর্যয়ের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি, পাথর তিস্তা বক্ষে জমে রয়েছে। এর ফল এবার বর্ষায় বোঝা যাবে। আমরাও সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমাদের রেন গেজ স্টেশনের তথ্য যাচাই করা হবে।
এদিন বৈঠকে শিলিগুড়ি মহকুমা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই চার জেলার সেচদপ্তরের কার্যনিবাহী বাস্তুকার, ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন।
জলপাইগুড়িতে সেচদপ্তরের বিশেষ বৈঠক। - নিজস্ব চিত্র।