সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা গজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় অবশ্য বলেন, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে গজলডোবায় ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রটি। তিস্তা ব্যারেজ, ক্যানেল, হাওয়া মহল, ঝিল, জঙ্গল, ঝুলন্ত সেতু, কটেজ প্রভৃতি নিয়ে এই পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ ঝিলের নৌকাবিহার। যা স্থানীয়দের কাছে ‘অ্যামাজন’ হিসেবে পরিচিত। হোগলা পাতার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে করানো হয় বোটিং। তা কয়েকদিন ধরে বন্ধ। বর্তমানে ঝিলের পাড়ে সারি দিয়ে বাঁধা বিভিন্ন আকারের নৌকা।
নৌকাচালক নিমাই মণ্ডল বলেন, ভোরের আলোর এই ঝিলে চলাচল করে প্রায় ১০০টি নৌকা। তিস্তা নদী থেকে ক্যানেলে জল ছাড়া বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রচণ্ড গরম। সেভাবে বৃষ্টিও হচ্ছে না। যার জেরে ঝিল এখন কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। জলে নৌকা চালানোই যাচ্ছে না। জলে নামলেই পা পলিতে ফেঁসে যাচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। এখন কীভাবে সংসার চালাব, তা বুঝতে পারছি না।
প্রায় সাত মাস আগে সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে তিস্তা নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। সেই সময় ব্যারেজের গাইড বাঁধ ভেঙে ঝিলে প্রবেশ করে তিস্তার পলি। তখন বেশ কিছুদিন ঝিলে নৌকাবিহার বন্ধ ছিল। নৌচালকদের দাবির জেরে কিছুদিনের মধ্যে নদী থেকে জল ছাড়ার পর আবার সচল হয় ঝিল। ফের সেই একই সমস্যা। জলস্তর কমে যাওয়ায় এবং পলির ফাঁসে নৌকাবিহার বন্ধ। পর্যটক বলেন, মূলত নৌকাবিহার করার উদ্দেশ্যেই ভোরের আলো দর্শনে এসেছি। তা না হওয়ায় নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। নৌচালকদের অভিযোগ, সাতমাস আগেই পলি তুলে ঝিলের নাব্যতা বাড়ালে এই সমস্যা হতো না। এবার ঝিল সংস্কার করতে হবে। নিজস্ব চিত্র