সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
পাঁচ-ছয় বছর আগেও যে নদীতে সারাবছর জল থাকত, সেই জলে চাষাবাদ হত। সেই নদী গরমে এখন জলশূন্য। গরমে কার্যত মৃতপ্রায়। নদীতে জল না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন এলাকার চাষিরা। স্রোত হারিয়ে ফেলায় পেশা বদলেছেন পুনর্ভবাপাড়ের জেলেরা। পুনর্ভবার হাল ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেচ ও জল সম্পদ বিভাগের মালদহের এক আধিকারিকের মন্তব্য, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ দরকার। পুনর্ভবায় সেটা কমে গিয়েছে। গরমে জল থাকছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। একই বক্তব্য রাজ্যের সেচ ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনেরও। বলেছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা শাসকের মাধ্যমে আবেদন জানালে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
পুনর্ভবা আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে নদীটি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা দিয়ে সীমান্ত বরাবর এসে মহানন্দা নদীতে মিলিত হয়েছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, কয়েকবছর আগেও সারাবছর পুনর্ভবায় জল থাকত। এখন বর্ষা ছাড়া আর জল থাকে না। স্থানীয়রা বলছেন, মার্চের পর থেকে নদীতে জল শুকোতে শুরু করে। এপ্রিল -মে মাসে জল একেবারে শুকিয়ে যায়। তখন মনে হয় মাঠ। নদীতে জল না থাকায় সমস্যায় গজেন ঘোষ নামে এক কৃষক। জলহীন নদী দেখে হতাশ তিনি। বলেছেন, জলের অভাবে নদীর পাশে আর ধানচাষ ঠিকঠাক করা যায় না। জলের অভাবে অনেক ধানগাছ মরে গিয়েছে। পুনর্ভবা নদীর পাড়ের চাষিরা এবছরও পাট চাষ করেননি। কেন? এলাকার চাষি গজেন বলছেন, পাট পচানোর জল কোথায়? বৃন্দাবন বাটি মৎস্যজীবী সোসাইটির সম্পাদক রাম হালদার বলছেন, নদীতে জল না থাকায় মাছ চাষও পুরোপুরি বন্ধ। যাঁরা আগে পুনর্ভবায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত, তাঁরা পেশা বদলে নিয়েছে। চোখের সামনে নদীর এই করুণ দশা দেখে হতাশ গজেন ও রাম হালদাররা। পুনর্ভবা নদীর পাড়ের বাসিন্দা রাকেশ রায় বলেন, কীভাবে নদীটিকে পুরনো অবস্থায় ফেরানো যায়, তা প্রশাসন খতিয়ে দেখুক। নিজস্ব চিত্র