উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিরহাটের বিধুভূষণ রায়ের সঙ্গে তাঁর তিন আত্মীয়ের কয়েকবছর ধরে জমি নিয়ে শরিকি বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি বিধুভূষণবাবু মারা যান। তাঁর তিন মেয়ের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এদিন সকালে বিধুভূষণ রায়ের বড় মেয়ে বাবলি ও তাঁর স্বামী অবিনাশ রায় পরিত্যক্ত ওই বাড়ির একাংশ মেরামত করতে আসেন। ওই সময়ে তিন আত্মীয় বাধা দেয়। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। অভিযোগ, একসময় তিনভাই মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অবিনাশকে কোপায়। এতে অবিনাশের ডানহাতের আঙুল শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ওই তিনভাই বাড়িটির একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তা দেখে প্রতিবেশীরা চলে আসেন। তাঁরাই মেখলিগঞ্জ থানা ও দমকল কেন্দ্রে খবর দেন। দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস তিনভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং অবিনাশকে চিকিৎসার জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়।
মৃত বিধুভূষণের মেয়ে বাবলি বলেন, আমাদের সঙ্গে জমি নিয়ে ওই আত্মীয়দের ঝামেলা ছিল। এদিন আমি স্বামীকে নিয়ে বাবার পরিত্যক্ত বাড়িটি সংস্কার করতে যাই। ওই সময় তিনজন আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। একটি ঘরেও ওরা আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা না এলে ওরা আমার স্বামীকে হয়তো মেরে ফেলত। যদিও এক অভিযুক্তের স্ত্রী দাবি করেন, জমি নিয়ে সমস্যা ছিল ঠিকই কিন্তু, আমার স্বামী বা দেওররা কাউকে মারধর করেনি। ওরা নিজেরাই ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। অবিনাশবাবু নিজের হাত কেটে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, রানিরহাটে জমি নিয়ে শরিকি ঝামেলায় মারধর ও বাড়িতে আগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।