প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন মাটিগাড়া ব্লকের পতিরামে করোনা আক্রান্ত এক যুবকের হদিশ মেলে। পতিরাম থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরে অবস্থিত মাটিগাড়া বাজারে অবশ্য সেই আতঙ্ক কার্যত নেই বললেই চলে। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশের মাস্ক ঝুলছে গলায়। সিংহভাগ বিক্রেতাই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না। দোকানদারদের অধিকাংশেরই নেই গ্লাভস। বাজারের এক দোকানদার বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা হচ্ছে। কাজের জন্য অনেক সময় মাস্ক ঠিকমতো থাকছে না। আমরা ক্রেতাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলছি।
বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, বাড়ি এখানেই। কিছু জিনিস নিয়ে চলে যাব। তাই রুমাল, কাপড় বেঁধে এসেছি। অজয় রায় নামে আরএক ক্রেতা বলেন, ব্লকে একজন করোনা পজিটিভ হয়েছে জেনেছি। আমরা সাবধানেই আছি। তবে সকলকে সাবধানে থাকতে হবে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বারবার বলা হচ্ছে। আমরাও মানুষকে সচেতন করছি। কিন্তু তারপরেও দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করছেন কেউকেউ। মানুষকেই সচেতন হতে হবে।
যদিও প্রশাসন অবশ্য তৎপর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। শুক্রবারই পতিরামে আক্রান্তের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়। বিডিও রুনু রায় বলেন, সরকারিভাবে বারবার মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। পুলিস অভিযান করলে সাময়িক ঠিক থাকলেও কিছু সময় পর আবার সেই একই অবস্থা। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে করোনা থেকে মুক্তি সম্ভব নয়।
টানা লকডাউন চললেও অর্থনীতির হাল ফেরাতে দোকান বাজার খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমন ছবি চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে সচেতন মানুষের মধ্যে।
শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপ্লব মুহুরি বলেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে বাজার খোলা হয়েছে। সকলকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমরা বলেছি।