বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, কিছুদিন আগে কলকাতার বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আমি বুথে আইটি সেলের কর্মী রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। নেতৃত্ব আমার প্রস্তাব সমর্থন করেছে। নির্দেশ পেতেই আমরা কর্মী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছি। জোরদার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এদিকে এনিয়ে বিজেপির আইটি সেলের জেলা কনভেনর উৎপল মণ্ডল বলেন, দেশজুড়ে আমাদের আইটি সেল শক্তিশালী। এই জেলাতেও আমাদের আইটি সেল আগে থেকেই কাজ করছে। তৃণমূলের কিছু নেই এখানে। বুথে বুথে তারা আইটি সেলের কর্মী নিয়োগ করলেও আমাদের কিছু যায় আসে না।
ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই আইনের সমর্থনে নানা পোস্ট শুরু করেছে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে। থেমে নেই তৃণমূলের আইটি সেল। তারাও সিএএ’র বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট করছে। এবার তারা একাজ সংগঠিতভাবে করতে চাইছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি বুথে তিনটি কমিটি তৈরি করা হবে। একটি কমিটির দায়িত্ব থাকবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের। অন্য কমিটির দায়িত্ব মানুষের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উদ্যোগী হওয়া। অন্য কমিটির দায়িত্ব থাকবে আইটি সেলের। সেই কমিটির সদস্যরা বিজেপির সমর্থনে কোনও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখামাত্র সেখানে পাল্টা তোপ দাগবেন। তারা শুধুমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়েই আবদ্ধ থাকবে না। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা জোরদার প্রচার করবে।
কেন একবারে গ্রামস্তরে প্রত্যেকটি বুথে আইটি সেলের কমিটি তৈরি করতে চাইছে শাসকদল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই আইটি সেলের সদস্যরা গ্রামস্তরের বিজেপি নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালাবেন। তাঁরা কী পোস্ট করছেন, কোথায় কী কমেন্টস করছেন, কী শেয়ার করছেন, তাতে কারা লাইক দিচ্ছেন, সেসব নজরে রাখা হবে। বিজেপি’র সমর্থনে কোনও পোস্ট হলেই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে লড়াই করবে তারা। এখন দ্রুত এই কমিটি তৈরির কাজ শেষ করতে চাইছে তৃণমূল।