বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
এদিন পুলিস সুপার বলেন, ধৃত যুবকের সঙ্গে মৃত মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত। সম্প্রতি ওই যুবতী বাপনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। সেজন্যই মালদহে ডেকে নিয়ে এসে তাঁকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্জন আম বাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে বাপনের স্ত্রীকেও আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
ওই পুলিস কর্তা আরও জানান, খুনের দু’দিন আগে ওই যুবতী শিলিগুড়ি থেকে মালদহে আসেন। বাপনের ডাকেই তিনি এ জেলায় এসেছিলেন। তার পরেই তাঁকে খুন হতে হয়। ধৃতকে জেরা করে এব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। আজ, বৃহস্পতিবার বাপনকে মালদহ জেলা আদালতে তোলা হবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাপনের আদি বাড়ি ইংলিশবাজার থানার মিলকি এলাকায়। সে কোতোয়ালিতে মামার বাড়িতে ছোট থেকে মানুষ হয়েছে। বছর দশেক আগে এলাকায় তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাপন শিলিগুড়ির একটি পপকর্ন কারখানায় কাজে যোগ দেয়। সেখানেই ডিভোর্সী ওই যুবতীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বছর দুয়েক আগে বাপন শিলিগুড়ির কাজ ছেড়ে মালদহে ফিরে আসে। তবে ওই যুবতীর সঙ্গে তার সম্পর্কে ছেদ পড়েনি। ওই দু’জনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বাপনের স্ত্রী টুম্পা জেনে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্তও বাপন নিয়ে ফেলে।
এদিকে, সম্প্রতি ওই মহিলার সঙ্গেও বাপনের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। অন্যদিকে, দুধ ব্যবসায়ী তপন নানা অজুহাতে বিয়ের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাচ্ছিল। গত দুই ডিসেম্বর ওই মহিলা ট্রেনে শিলিগুড়ি থেকে মালদহে আসেন। স্টেশন থেকে তপন তাঁকে নিয়ে যায়। তারপর অজ্ঞাত কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখে । পরে সুযোগ বুঝে সে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমবাগানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে ওই মহিলার পরিবারের লোক তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন। মৃতার মা তপনের ফাঁসির দাবি তোলেন। তপনের মা চন্দনা ঘোষ বলেন, আমার ছেলে দোষী হলে সে যেন আইনানুগ শাস্তি পায়।