কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
প্রতি বছরের মতো এবারও রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রংবেরঙের কম্বল নিয়ে বসেছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা বিক্রেতারা। এঁরা মূলত উত্তরপ্রদেশ থেকে আসেন। শহরের এমজি রোড, মোহনবাটি, মোহনবাটি বাজার, চণ্ডীতলা এলাকায় তারা কম্বল নিয়ে বসেছেন। কিন্তু এখনও শীত না পড়ায় তেমন বিক্রিবাট্টা তেমন হচ্ছে না। চণ্ডীতলার এমনই এক কম্বল বিক্রেতা রেজওয়ান আলি বলেন, আমরা উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে এখানে এসেছি। সেখানকার রামপুর, গাজিয়াবাদ, বেরিলি, আগ্রা এলাকার কম্বল বিক্রেতারা রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এসেছেন। শুধু তাই নয়, আমাদের এখান থেকে বালুরঘাট, ইসলামপুরেও অস্থায়ীভাবে দোকান খোলা হয়েছে। কিন্তু শীত জাঁকিয়ে না বসায় আমাদের বিক্রি তেমন হচ্ছে না। বিক্রেতাদের মধ্যে হাসান আনসারি, আসিন আলি, আসান আনসারিরা বলেন, বিগত দিনে আমরা রায়গঞ্জ এসে নভেম্বরের মাঝামাঝি যা ব্যবসা করেছি এবার তা একেবারেই হচ্ছে না।
বিক্রেতারা বলেন, আমরা দেশীয় কারখানায় তৈরি কম্বল বিক্রি করছি। সেগুলি কোরিয়ান বা চাইনিজ কম্বলের তুলনায় অনেক ভালো। কেজি দরে এগুলি বিক্রি করি। একটি প্রমাণ সাইজের কম্বলের ওজন তিন থেকে ছয় কেজি পর্যন্ত হয়। ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা কেজি পর্যন্ত কম্বল রয়েছে আমাদের কাছে। অন্যদিকে বাচ্চাদের জন্য ছোট সাইজের কম্বল প্রতি পিস ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আমরা শুধু কম্বলই নয়, ছোটদের গরমের পোশাক, বড়দের শালও বিক্রি করি। শালের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ছোটদের গরম পোশাক ২০০-৩০০ টাকায় পাওয়া যায়।