নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, ১০০ দিনের কাজে গতি আনতে প্রতিমাসে কাজের পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রতিমাসে পঞ্চায়েতের নেওয়া কাজ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে কি না সেবিষয়ে নজরদারি চলছে।
জেলা বিজেপির সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে থাকায় সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে প্রশাসন কাজ দিচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে পুলিসকে দিয়ে কাজের গতি স্তব্ধ করা হচ্ছে।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, জেলায় ১০০ দিনের কাজের গতি আটকে আছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই এই অবস্থা হয়েছে। দ্রুত কাজের গতি আনতে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে উদ্যোগী হওয়া উচিত।
ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিজেপির পম্পি রায় চৌধুরী বলেন, লোকসভা ভোটের পরে পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ ছিল। কাজের পরিস্থিতি ছিল না। ১৩ নভেম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করব।
তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-২ ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, ধরমপুরের প্রধান এবং উপ প্রধান অপদার্থ, অযোগ্য। তাঁদের ব্যর্থতার কারণেই কাজ পাচ্ছেন না জবকার্ড হোল্ডাররা। আমরা ওঁদের অপসারণের দাবি করছি।
লোকসভা নির্বাচনের পরে ময়নাগুড়ি, মাল ব্লকের একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ সদস্যরা দলবদল করেন। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। ১০০ দিনের কাজে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। নতুন করে কোথাও কাজ শুরু হলে গণ্ডগোল বাধে। এদিনই ময়নাগুড়ি খাগড়াবাড়িতে ১০০ দিনের কাজকে নিয়ে ঝামেলা হয়। এছাড়া এই বছর নতুন এক সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে কাজ অন্তর্ভুক্ত করতে হচ্ছে। সফ্টওয়্যার সম্পর্কে কর্মচারীদের জানতে সময় লেগে যাচ্ছে। অন্যদিকে এই বছর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মাটির কাজের বদলে স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে জোর দিতে হয়। কিন্তু শ্রমিকরা অদক্ষ হওয়াতে স্থায়ী সম্পদ তৈরির কাজে দেরি হতে থাকে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই আর্থিক বছরে ৯ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০০ জন জবকার্ড হোল্ডারের মধ্যে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ১৯৫ জন কাজ পেয়েছেন। ময়নাগুড়ি, মাল ব্লকে কাজের গতি খুবই খারাপ। ধূপগুড়িতে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৮৩ জন জবকার্ডধারীর মধ্যে কাজ পান ২৭ হাজার ৬৫১ জন। সদর ব্লকে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৮ জনের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৭ জন কাজ পেয়েছেন। মাল ব্লকে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭২১’র মধ্যে কাজ পেয়েছে ২০ হাজার ১০১ জন। ময়নাগুড়িতে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮০৫ জনের মধ্যে ১২ হাজার ৫২২ জন কাজ পেয়েছে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা ময়নাগুড়ির ধরমপুরে। ৩৭৫৪টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৮৪টি পরিবার কাজ পেয়েছে। দোমোহনি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৩০৩টি পরিবারের মধ্যে ৪৬২টি পরিবার, মাল ব্লকের ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৮৩৮টি পরিবারের মধ্যে ৬২১টি পরিবার কাজ পেয়েছে।