নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
গ্রামবাসীরা জানান, চকডাঙা গ্রামের ওপারে নওপাড়া গ্রাম রয়েছে। গ্রামে ঢুকতে একটি খাঁড়ি রয়েছে। খাঁড়িতে পারাপারের জন্য কোনও কালভার্ট না থাকার কারণে বাসিন্দাদের সারা বছর চরম সমস্যা পোহাতে হয়। গ্রামের রাস্তাও কাঁচা রয়েছে। একাধিকবার এনিয়ে আন্দোলন করেও কোন সুরহা হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিন তারা এলাকার মেম্বারকে তুলে এনে তির, ধনুক নিয়ে বিডিও’র ঘরের সামনে বসে পড়েন।
বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার বলেন, এই গ্রামে রাস্তা ও কালভার্টের জন্য ইতিমধ্যে ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টেন্ডার ডাকাও হয়েছিল। তবে কোনও ঠিকাদার অংশ নেয়নি। দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার আমি নিজে ওই গ্রামে যাব।
কাশীপুর সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপির অনুকূল দাস বলেন, আমি একাধিকবার গ্রামের এই সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছি। প্রশাসনের প্রত্যেকটি দপ্তরে গিয়েছি। কোনও কাজ কাজ হয়নি। গ্রামবাসীদের চরম সমস্যার মধ্যে থাকতে হয়। এদিন তাঁরা আমাকে ধরে নিয়ে বিডিও অফিসে আসেন। প্রশাসন জানিয়েছে এবার কাজ হবে।
গ্রামবাসী মিনতি কিস্কু, পমি বেসরা বলেন, খাঁড়িতে কোনও কালভার্ট নেই। বর্ষাকালে একটি বাঁশের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। চরম সমস্যার মধ্যে থাকতে হয়। এনিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে জানানো হলেও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে এসেছি। সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
চকডাঙা গ্রামে প্রায় ১০০টি পরিবার রয়েছে। সকলেই আদিবাসী। গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও একটি এসএসকে রয়েছে। দোগাছি ফরেস্ট থেকে গ্রামে যাওয়ার ৫০০ মিটার রাস্তা কাঁচা রয়েছে। গ্রামে যাওয়ার পথে খাঁড়ি পরে। বঁশের উপর দিয়ে সেই খাঁড়ি পার হতে হয় বাসিন্দাদের এনিয়েই সেখানে ক্ষোভ জমেছে।