নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
এদিন অর্পিতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘ কয়েক বছর আগে এই অফিস স্থানাস্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাজ্য সরকারের চাপে কেন্দ্র হাত গুটিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু আবার সেই অফিস নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলাবাসীর স্বার্থে আমরা তা সর্বশক্তি দিয়ে রুখব। কিন্তু এনিয়ে সুকান্তবাবুর কোনও হেলদোল নেই। এনিয়ে সংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, অফিস স্থানান্তর নিয়ে অর্পিতা ঘোষ রাজনীতি শুরু করেছেন। অনেকে আগে এই অফিস স্থানান্তরের নির্দেশিকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে। কাজের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে। তবু যাতে অফিস স্থানান্তর না করা হয় তা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
এদিন অর্পিতাদেবী দলবল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে আসতেই হইচই পড়ে যায়।
অর্পিতাদেবীর সঙ্গে শুভাশিস পাল ওরফে সোনা, দেবাশিস মজুমদার প্রমুখ নেতারাও ছিলেন। তাঁরা বলেন এখান থেকে এফসিআই অফিস তুলে নেওয়া হলে কর্মীরা কাজ হারাবেন। এরসঙ্গে যুক্ত অনেক মজদুর সমস্যায় পড়বেন। জেলায় ধান সংগ্রহের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই অবিচার কখনও মানা হবে না। এমনিতেই জেলা পিছিয়ে রয়েছে। এখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর সরিয়ে নেওয়া হলে জেলার গুরুত্ব আরও কমে যাবে।
অর্পিতা বলেন, এফসিআইয়ের অফিস অনেকে বছর আগে স্থানান্তরের নির্দেশিকা কেন্দ্র সরকার দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার এনিয়ে সরব হতেই সেকাজ এতদিন স্থগিত রাখা হয়। তখম আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। আমিও এনিয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। তবে এখন পুরোপুরি ভাবে অফিস স্থানাস্তর করবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আর চুপ করে বসে থাকব না। ওই স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে এদিন জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এতে কাজ না হলে দ্রুত জেলায় আন্দোলনে নামব। তবে হতবাক হয়ে যাচ্ছি বিষয়টি নিয়ে সুকান্তবাবু কেন চুপ আছেন? এফসিআইয়ের কর্মীরা সমস্যার সমাধানে সুকান্তবাবুর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি। তিনি পারবেন না বলে হাত গুটিয়ে আছেন।
সুকান্তবাবু বলেন, অফিস স্থানান্তরের নিয়ে বাজে রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালে অফিস স্থানাস্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্পিতা ঘোষ তখন সংসদে ছিলেন। চাইলে তিনি সেই সময়ে তা বাতিল করাতে পারতেন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে অফিস স্থানান্তর না হয়। এনিয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।