কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বিয়ের নির্ঘণ্ট ঠিক ছিল এপ্রিলে। মহামারীর জেরে তা পিছিয়ে যায়। দিন, মাস ঘুরে চলে আসে অক্টোবর। কিন্তু কোভিডের সংক্রমণ আর কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এই পরিস্থিতিতে নমো নমো করে অনুষ্ঠান সেরে ফেলার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু রোমা-বিনাল ঠিক করেন, বিয়ে হবে নিয়ম মেনে। আমন্ত্রিতরাও আসবেন দল বেঁধে। তাহলে ব্রিটিশ সরকারের জারি করা ফরমানের কী হবে? সেখানে বলা হয়েছে, সামাজিক যে কোনও অনুষ্ঠানে অতিথির উপস্থিতি মেরেকেটে জনা পনেরোর বেশি নয়। তাই সরকারি নির্দেশিকাকে মান্যতা দিতে গাড়ি, জায়ান্ট স্ক্রিন, ঢালাও লন-কে কাজে লাগিয়ে বিকল্প উপায় বাতলে দেন সহেলি মিরপুরি। ‘সহেলি ইভেন্টস’-এর কর্ণধার তিনি। বিয়ের ছকভাঙা আইডিয়া রূপায়ণে সিদ্ধহস্ত। মিরপুরি জানান, করোনার কোপ এড়াতে ‘ড্রাইভ-ইন ওয়েডিং’-এর আয়োজন করলে মন্দ হয় না! কোভিড আবহে আনন্দ অক্ষুণ্ণ রেখে আসর জামানোর এটাই একমাত্র উপায়। নিছক হাসিঠাট্টার ছলে কথা গড়িয়েছিল। কিন্তু সহেলি পেশাদার দৃষ্টিতে পরিকল্পনার জাল ছড়াতেই নড়েচড়ে বসেন সকলে। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার সুবাদে তৈরি হয় চূড়ান্ত নকশা!
প্রথা ভেঙে বিয়ের আয়োজনে ঠিক কী ছিল? সহেলি জানান, ড্রাইভ-ইন ওয়েডিংয়ের জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় চেমসফোর্ডের ব্রাক্সটেড পার্ক। ১০০টির বেশি গাড়ি সেখানে স্বচ্ছন্দে, দূরত্ব মেনে দাঁড়াতে পারে। ভেতরে রয়েছে বিয়ের আসর সাজানোর উপযুক্ত জায়গা। অভ্যাগতদের কথা ভেবে বসানো হয় জায়ান্ট স্ক্রিনও। চার দেওয়ালের মধ্যে যাবতীয় বিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ে। বাইরে গাড়িতে বসে স্ক্রিনে তা দেখতে পান সকলে। কিন্তু খানাপিনা ছাড়া বিয়ের আসর যে অসম্পূর্ণ! সেকথা মাথায় রেখে অপেক্ষমান অতিথিদের হাতে পৌঁছে যায় রকমারি খাবারদাবার। মেনুর তালিকা আগেভাগে প্রত্যেকের মোবাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খাবারও পৌঁছে গিয়েছিল গাড়িতে। সঙ্গে সুদৃশ্য গিফ্ট হ্যাম্পার। সংক্রমণের দিনকাল। তাই যৌতুকের মোড়কে জায়গা করে নেয় জীবাণুনাশক হ্যান্ড জেলও!
গত সপ্তাহে এভাবেই নতুন জীবন শুরু করেছেন রোমা-বিনাল। বিয়ের এই আয়োজন নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন? এ প্রশ্নে রোমার অকপট জবাব, ‘এপ্রিলে যখন অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ভেবেছিলাম, এবছর হয়তো আর বিয়ে করা হবে না। আসলে আমাদের দু’জনেরই বন্ধুবান্ধব আর কাছের অতিথিদের তালিকাটা বেশ লম্বা। তাঁদের ছাড়া বিয়ের আয়োজন সবদিক থেকে অসম্পূর্ণ। তাই কিছুটা অন্য আদলে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার চিন্তাভাবনা নেওায়া হয়। দিনটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’