নয়াদিল্লি (পিটিআই): ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট সব দেশের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আর্থিক স্বার্থের বিষয়টি সুনিশ্চিত করাই হল প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। টোকিওতে ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, কোয়াড বা ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত কোয়াড্রিল্যাটারাল জোটের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতেই জয়শঙ্কর জাপানে গিয়েছেন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘মুক্ত ও অবাধ’ বাণিজ্যের পক্ষেই সওয়াল করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতি ও স্বচ্ছতা বজায় থাকা উচিত। জলসীমায় সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধিকার বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জলসীমায় অবাধ যাতায়াত ও সুস্থিতি নিশ্চিত করতেই ২০১৭-র নভেম্বরে ‘কোয়াড’-এর জন্ম হয়। তবে, এই গোষ্ঠীভুক্ত চার দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠকটি হয় ২০১৯-এর নভেম্বরে, নিউ ইয়র্কে। করোনা আবহে টোকিওর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
টোকিওতে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন বাড়ার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। পম্পেওর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের বিদেশমন্ত্রী এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহেদে সুগার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে জয়শঙ্করের। তিনি নিজেই ট্যুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বে দুই দেশের পারস্পরিক ভূমিকা নিয়েও কথা হয়েছে। এইমুহূর্তে চীনের সঙ্গে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যার কারণে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেজিংয়ের সংঘাতের কারণ একাধিক। গত বছর পূর্ব-এশিয়া সম্মেলনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আস্ফালন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। টোকিও বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলতে ভোলেননি জয়শঙ্কর।
 টোকিওতে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর। -পিটিআই