কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
করোনা আতঙ্ক রয়েছে। তার মধ্যেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেবেন রিপাবলিকান মাইক পেন্স ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। প্রথমবার। উটাহের সল্টলেক সিটিতে। সেই সঙ্গে প্রথমবার আরও একটা ঘটনা ঘটবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেউ এই মঞ্চে দাঁড়াবেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে। মার্কিন ইতিহাসে এই নজির নেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলা হ্যারিস বিতর্ক মঞ্চে আগ্রাসী। লক্ষ্যে স্থির। তিনি কী চান, তা জানেন। কমলা হ্যারিসকে রোখা মাইক পেন্সের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ফরেন প্রেস সেন্টারস আয়োজিত ভার্চুয়াল রিপোর্টিং ট্যুরের এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক জোয়েল গোল্ডস্টেইন বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাইক পেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিতর্ক মঞ্চে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইবেন তিনি। যা কমলা হ্যারিসকে বেগ দিতে পারে। দুই ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীই অবশ্য জানিয়েছেন, বিতর্কের জন্য প্রস্তুত তাঁরা। জোয়েল গোল্ডস্টেইন প্রসঙ্গক্রমে বলেন, এই বিতর্কে করোনার মতো ইস্যুর পাশাপাশি দুই দলের নীতি নির্ধারণ সম্পর্কিত বিষয়ই বেশি প্রাধান্য পেতে চলেছে।
ট্রাম্প বনাম বিডেন। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে কে বেশি মাইলেজ পেয়েছেন? জনমত সমীক্ষা বিডেনের পক্ষে। ট্রাম্পের দাবি ছিল উল্টো। সে যাই হোক, প্রথম বিতর্কের আগে উত্তেজনা ছিল। উৎকণ্ঠা ছিল না। মত দুই শিবিরের। দু’দলের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই বদলে গিয়েছে সব কিছু। ট্রাম্পের একাধিক সহযোগীও পজিটিভ। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে বিতর্ক সভার আয়োজন করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত সতর্কতা নিচ্ছে সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিশন। জানা গিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব মেনে বিতর্ক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সঞ্চালনার ভার ইউএস টুডের ওয়াশিংটন ব্যুরো চিফ সাংবাদিক সুজান পেজের কাঁধে। প্রথম বিতর্কের মতোই প্রার্থীরা বা সঞ্চালক করমর্দন করবেন না। ট্রাম্প-বিডেন প্রায় সাত ফুটের ব্যবধানে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৩ ফুট দূরত্ব থাকবে। দুই প্রার্থী ও সঞ্চালক ছাড়া অন্যদের সব সময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। বিতর্ক সভার আগে প্রার্থীদের পাশাপাশি সঞ্চালকেরও কোভিড টেস্ট হবে। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেই দর্শক ও কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
এর মধ্যেই প্লেক্সিগ্লাস ব্যবহার ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ট্রাম্প দম্পতি আক্রান্ত হওয়ার পর এই সভার সুরক্ষাবিধি নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। প্লেক্সিগ্লাস ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। উল্টো সুর রিপাবলিকানদের। মাইক পেন্সের মুখপাত্র ক্যাটি মিলারের কটাক্ষ, ‘সেনেটর হ্যারিস নিজের চারপাশে দুর্গ চাইলে সেই ব্যবস্থা করা হোক।’ করোনা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বোঝাতে মরিয়া পেন্স শিবির। বিতর্ক সভার আগে রিপাবলিকানদের মনোবল অটুট রাখতেই হবে। যে কোনও মূল্যে। ট্রাম্পের থেকেই শিখেছেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট।