সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত শনিবারই বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে তিনি ওই সভা করেন। সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ওন্দা ও কোতুলপুর বিধানসভাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন।
রবিবার ওন্দার নিকুঞ্জপুরে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের দুই বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন মোদি। সেই সভায় মোদি তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে নানা বাক্য বাণে বিঁধেছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদিকে জবাব দিতে অল্প সময়ের ব্যবধানে পাল্টা সভা করতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপনউতোর।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিদি নিকুঞ্জপুরে মোদির সভা করে যাওয়া মাঠেই পাল্টা সভা করবেন। নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখতে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। দলীয়স্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছেন জনতাও। এজন্য বাস সহ নানা গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, দিদির সভার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি। আমাদের নেত্রীর সভার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, মোদিজির সভার উচ্ছ্বাস প্রমাণ করেছে বিষ্ণুপুর লোকসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য মানুষ প্রস্তুত। নিকুঞ্জপুরে মুখ্যমন্ত্রী যতই সভা করুন, সেটি ফ্লপ হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনে বিজেপি জেতে। সেবার ব্যবধান হয় ২৬ হাজার ৩৭৩টি ভোট। পরে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি নিজের জয় ধরে রাখে। সেবার বিজেপির ব্যবধান ছিল ১১ হাজার ৫৫১। ফলে এবার ওন্দা সহ বিষ্ণুপুর আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল শিবির। মুখ্যমন্ত্রীও বাড়তি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী বিষ্ণুপুর লোকসভার অধীন পাত্রসায়র ও বিষ্ণুপুরে দু’টি সভা করেছেন। এবার কর্মীদের চাঙ্গা করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওন্দায় আসছেন। ফলে আজকের সভা রাজ্য রাজনীতিতে অন্য মাত্রা যোগ করতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।