সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, কালীচরণকে টেক্কা দিতে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণানন্দ ত্রিপাঠী। এই লোকসভা কেন্দ্রের এবারের সমীকরণ কৃষ্ণানন্দকে স্বস্তি দিতে পারে। এখানকার পাঁচটি বিধানসভার মধ্যে দুটি বিজেপি, দুটি আরজেডি ও একটি কংগ্রেসের দখলে। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোটের দখলেই রয়েছে বেশিরভাগ বিধানসভা আসন। ফলে বিরোধী ভোট এককাট্টা হবে বলে আশা করছে কংগ্রেস। পাশাপাশি বিদায়ী বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভকেও কাজে লাগাতে চাইছে জোট শিবির। তার উপর চতরার ভোটারদের ১৩ শতাংশের বেশি মুসলিম। এই ভোট জোটের ঝুলিতে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অস্বস্তির কাঁটাও রয়েছে। রাজ্যে একটি আসনেও জোট মুসলিম প্রার্থী দেয়নি। এজন্য সংখ্যালঘু মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিজেপি যতই চতরায় উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করুক। বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। এই অঞ্চলে মাওবাদী তৎপরতা এখনও মাথাব্যথা কারণ। এর পাশাপাশি রয়েছে বেকারত্বের ইস্যু। মাওবাদী সমস্যার জন্য এই অঞ্চলে বড় কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের কাজের খোঁজে রাজ্যের অন্যত্র বা ভিনরাজ্যে যেতে হয়। দিনের পর দিন দাবি জানানো সত্ত্বেও চতরায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। দু’বছর আগে কেন্দ্র চতরা-গয়া রেলপথের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই এগোয়নি। কর্মসংস্থান না থাকায় বহু মানুষ আফিম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও ঝাড়খণ্ডের আফিম চাষের কার্যত কেন্দ্র হয়ে উঠেছে চতরা। মাওবাদীরাও টাকা জোগাড় করতে আফিম চাষে সাধারণ মানুষকে উত্সাহ দিচ্ছে। এছাড়া পানীয় জল, বিদ্যুত্, রাস্তা, স্বাস্থ্যর মতো পরিষেবা এখনও বঞ্চিত বেশিরভাগ মানুষ। টানা দশ বছর এই আসনে বিজেপির সাংসদ থাকলেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা খুব বেশি মেলেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের। এই নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। তবে চতরার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একটাই, সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের তকমা ঘুচবে কবে?