সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
আগরতলার ভারতরত্ন সঙ্ঘের সম্পাদক দুর্গাপ্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি খুনে মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মন। ধৃত রাকেশ সেই রাজুই ভাই। রায়গঞ্জ পুলিসের সহযোগিতায় শনিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরা পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রবিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে নেয় ত্রিপুরা পুলিস।
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী দীপ্তেশ ঘোষ বলেন, ধৃত রাকেশ বর্মনকে সিজেএম কোর্টে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আবেদন করে ত্রিপুরা পুলিস। বিচারক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ধৃতকে আগরতলা সিজেএম আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ত্রিপুরা পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী আধিকারিক জানান, শনিবার রাত আটটা নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তুলসীতলার একটি বাড়ি থেকে বছর তেত্রিশের রাকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘ধৃত ব্যক্তি ত্রিপুরার একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত।’
গত ৩০ মে সন্ধ্যায় আগরতলার এয়ারপোর্ট থানার শালবাগান এলাকায় ভারতরত্ন সঙ্ঘের সম্পাদক ভিকিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। এই ক্লাবের একাংশ ‘সিন্ডিকেট’-এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় পূর্তদপ্তরের টেন্ডার নিয়ে রেষারেষিতেই ভিকি খুন হন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। এই ঘটনায় ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরীকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর গ্রেপ্তার করা হয় সুস্মিতা সরকারকে। এই যুবতীর সঙ্গে ভিকির ‘অবৈধ সম্পর্ক’ ছিল বলে অভিযোগ। সুস্মিতাকে কাজে লাগিয়েই রাজু বর্মনরা ভিকির খবর আদায় করতেন। প্রদ্যুৎ ও সুস্মিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর ও কলকাতার মুকুন্দপুর থেকে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অবশ্য, এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজু এবং বিমান দাস নামে আরও এক যুবক অধরা।