নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউনে দীর্ঘদিন যাবতীয় পণ্য এবং যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল রেলমন্ত্রক। পরবর্তী ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ‘স্পেশাল’ হিসেবে যাত্রীবাহী ট্রেনের পরিষেবা চালু হলেও সেগুলির ভাড়া বাড়িয়ে দেয় মোদি সরকার। যদিও মাসকয়েক আগে রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, বিভিন্ন জোনে করোনাকালের বর্ধিত ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জোন এবং ডিভিশনগুলিকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে রেলের বর্ধিত যাত্রীভাড়া কমানো নিয়ে যে দাবি সরকার করেছিল, তা কি আদতে মিথ্যাচার? এ প্রশ্ন উঠছে। কারণ, সাম্প্রতিক একটি আরটিআইয়ের জবাব থেকে দেখা যাচ্ছে, পূর্ব-মধ্য রেলের অন্তত আট জোড়া এমন ‘মেমু’ প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে, যেগুলির যাত্রীদের এখনও মেল-এক্সপ্রেসের ভাড়া গুণেই সেইসব প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চড়তে হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের আরটিআই কর্মী চন্দ্রশেখর গৌর রেলের ওই জবাব সামনে এনেছেন। ওই আরটিআইয়ের জবাবে পূর্ব-মধ্য রেল জানিয়েছে, তাদের জোনে ৩৩ জোড়া ‘মেমু’ প্যাসেঞ্জার ট্রেন বর্তমানে নতুন নম্বর নিয়ে চলছে। তারই মধ্যে আট জোড়া মেমু প্যাসেঞ্জারের যাত্রীদের এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া দিতে হচ্ছে। ওই ট্রেনগুলিকে এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিণত করা হয়েছে বলেই সেই ভাড়া দিতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের।
প্রশ্ন উঠছে, রেলের অন্যান্য জোন এবং শাখা মিলিয়ে এরকম আরও কত প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে, যেগুলিতে করোনাকালে চালু হওয়া বর্ধিত ভাড়া গুণতে হচ্ছে রেলযাত্রীদের? যদিও নর্দার্ন রেল কিংবা পূর্ব রেলের মতো কয়েকটি জোন অবশ্য আগেই জানিয়েছে, করোনাকালের বর্ধিত ভাড়ায় তারা কোনও ট্রেন চালাচ্ছে না।