সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
এত কিছুর পরেও অবশ্য অনড় অধীর। ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি লড়াই থামাব না। আমার কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। আমার বিরোধিতা পশ্চিমবঙ্গে আমার পার্টিকে রক্ষা করার লড়াই। কংগ্রেসকে কেউ খতম করবে, আর তাকে আমি খাতির করব, তা তো হতে পারে না। এটা নৈতিক বিরোধিতা। পশ্চিমবঙ্গে আমার পার্টিকে রক্ষা করার লড়াই। এই লড়াই আমি কোনও ভাবে থামাতে পারি না। তৃণমূল আগামী দিনে যাতে উঠে যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা রাজনীতি করছি এবং করব।’
যদিও খাড়্গে এতে ভ্রূক্ষেপ করছেন না। সম্প্রতি প্রচারের মঞ্চ থেকে মমতা বার্তা দিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া সরকারের প্রতি তাঁর নিঃশর্ত সমর্থন থাকবে। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেই প্রসঙ্গ টানেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তিনি ইন্ডিয়া (সরকার)-কে বাইরে থেকে সমর্থন করবেন। অতীতেও এমন হয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে বামেরা বাইরে থেকে সমর্থন জানিয়েছিল।’
পঞ্চম দফার প্রচারের শেষদিনে মুম্বইয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, উদ্ধব থ্যাকারে ও শারদ পাওয়ার। ইন্ডিয়া শিবিরের তিন নেতা তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বিভিন্ন জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করছেন, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে অযোধ্যার রামমন্দিরে বুলডোজার চলবে। তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দেওয়া হবে। ফিরিয়ে আনা হবে ৩৭০ অনুচ্ছেদ। ইন্ডিয়া শিবিরের তিন নেতা এদিন একবাক্যে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। খাড়্গের তোপ, ‘বুলডোজার আমরা চালাই না, বিজেপি চালায়। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে উস্কানি দেওয়া মোদির পুরনো অভ্যাস।’ উদ্ধব থ্যাকারে বলেন, ‘ইন্ডিয়া শিবিরের সরকারই অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করবে।’ আর শারদ পাওয়ার জানিয়ে দেন, ‘শুধু মন্দির নয়, সব ধর্মীয়স্থান রক্ষা করাই হবে আমাদের সরকারের দায়িত্ব।’