নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এবার নামছেন রাহুল গান্ধী। আজ। রায়বেরিলির প্রার্থী হিসেবে চার জায়গায় সভা করবেন তিনি। হরচাঁদপুর, সারেনি, উঁচাহার এবং বাছারাওয়ান। রায়বেরিলিতে মা সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকে জিততেই হবে। এখান থেকেই জিতেছেন ঠার্কুদা ফিরোজ গান্ধী। দু’বার। ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধী তিনবার। সোনিয়া গান্ধী পাঁচবার। উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত জয় হাসিল করেছে ১৭বার। ১৫বার সরাসরি। তিনবার উপনির্বাচনে।
তাই রাজ্যসভার সদস্য হয়ে সোনিয়া গান্ধী রায়বেরিলি থেকে সরে গেলেও পরিবারের মানরক্ষার দণ্ড হাতে তুলে নিয়েছেন রাহুল। তাঁকে জেতাতে এআইসিসি’র একটি বিশেষ টিম পৌঁছে গিয়েছে রায়বেরিলি। কাজ করছে আমেথিতেও। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এআইসিসির বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছেন রায়বেরিলিতে। একই কাজ আমেথিতে করছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রীতিমতো ক্যাম্প করে গড় সামাল দিচ্ছেন। আগামী ২০ মে এই দুই কেন্দ্রে ভোট। তাই রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি প্রচারের শেষবেলায় যাবেন সোনিয়া গান্ধীও। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৭ মে সোনিয়া গান্ধী রায়বেরিলিতে প্রচার করবেন।
এবার নির্বাচন পর্বে এখনও পর্যন্ত একটি ভিডিও বার্তা ছাড়া সোনিয়া গান্ধী কোথাও প্রচারে যাননি। দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের সভা, তেলেঙ্গানা, জয়পুরে দলের নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রচারে গিয়েছেন। কিন্তু বক্তৃতা দেননি। রায়বেরিলি, আমেথিতে তা দেবেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। সোনিয়া গান্ধীকে রায়বেরিলি ‘বহু (বউমা)’ বলেই চেনে। কারণ এটি ইন্দিরা গান্ধীর আসন। আর সেই আবেগই সোনিয়া প্রচারে কাজে লাগাবেন বলেই জানা গিয়েছে। জানাবেন, রাহুলকে জেতানো মানেই তাঁর জয়। বায়বেরিলি এবং কেরলের ওয়েনাড়, দু’ জায়গা থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। যদি দু’জায়গা থেকেই জিতে যান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও একটি জায়গা তাঁকে ছাড়তে হবে। দলের স্ট্র্যাটেজি, তখন রায়বেরিলি আসনটি তিনি ছেড়ে দেবেন। উপনির্বাচনে দাঁড়াবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।