অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আওতায় থাকা সিএসআইআর-ন্যাশনাল কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনসিএল) এহেন অক্সিজেন এনরিচমেন্ট ইউনিটটি তৈরি করেছে। যা করোনা-উত্তর সময়েও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা যাবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে অন্তত ১৫ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত রোগীকে অক্সিজেন থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র চার শতাংশ রোগীকে সুস্থ করতে ভেন্টিলেটরের সাহায্য নিতে হচ্ছে। কিন্তু প্রায় ৩৫ শতাংশ এমন কোভিড আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, যাঁদের দ্রুত সুস্থতার জন্য খুব সামান্য মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। চিকিৎসা চলাকালীন প্রতি মিনিটে পাঁচ লিটার অক্সিজেন দিলেই তাঁরা অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। প্রধানত তাঁদের কথা ভেবেই নতুন প্রযুক্তির এহেন অক্সিজেন এনরিচমেন্ট ইউনিট তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক সময়ই প্রয়োজন পড়লেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারী অক্সিজেন সিলিন্ডার নির্দিষ্ট সময়মতো পৌঁছে দেওয়া যায় না। অনেকের আবার কেনার ক্ষমতাও থাকে না। দু’দিক থেকেই সংশ্লিষ্ট ইউনিট যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ইউনিট মুহূর্তের মধ্যেই চালু করে দেওয়া যায়। এতে সরবরাহ হওয়া অক্সিজেনের বিশুদ্ধতা ২১ থেকে ৩৫ শতাংশ। বাতাসে দূষণ সৃষ্টিকারী পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) কিংবা প্যাথোজেনমুক্ত এই অক্সিজেন, জানিয়েছে মন্ত্রক। সিএসআইআর-এনসিএল জানিয়েছে, প্রয়োজনমতো শুরুতেই এর ব্যবহার করলে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকাংশেই ভেন্টিলেটর-নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা-উত্তর সময়ে সিওপিডি, অ্যাজমা কিংবা ফুসফুস জনিত সমস্যাতেও এই অক্সিজেন এনরিচমেন্ট ইউনিটের ব্যবহার করতে পারবেন চিকিৎসকেরা।