অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ভারতে ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম অর্থাৎ সার্বিক টিকাকরণ কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ৯টি ধাপের প্রতিষেধক টিকা। বিসিজি থেকে পোলিও কিংবা হেপাটাইটিস। ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির একটি সময়সীমাও সরকার দ্বারা নির্ধারিত। অর্থাৎ জন্মগ্রহণের সময় থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত সময়সীমা জুড়ে চলে এই টিকাকরণ। এমন ধাঁচে করোনার ভ্যাকসিনকেও বিশেষ হেলথ মিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এর জন্য আগামী বছরের বাজেটেই দেশের সকলের জন্য করোনার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যেক ভারতবাসীকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে—এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
কারণ সরকারের আশঙ্কা, বাধ্যতামূলক না হলে সচেতনতার অভাবে বহু মানুষ এই ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে থেকে যাবে। ব্যাহত হবে করোনা নির্মূলকরণের উদ্দেশ্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে যে কোনও নতুন সংক্রামিত রোগের প্রাথমিক ধাপ হল, টিকার আবিষ্কার। পরবর্তী কঠিন ধাপ হল, দেশকে রোগমুক্ত ঘোষণা করা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন, প্রতিটি মানুষকেই যাতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেটা নিখুঁতভাবে করতে হলে ভ্যাকসিনকে সরকারিভাবেই একটি প্রকল্পের আওতায় এনে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এই প্রেক্ষাপটেই ভ্যাকসিন দ্রুত আসার জল্পনাকে উস্কে দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী দেশের তিন শহরে দেশীয় ইউনিটে ট্রায়ালের পর্যায়ে থাকা তিনটি ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থার দপ্তর পরিদর্শন করেন। ভারতের তিনটি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরিতে নিয়োজিত। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং আমেদাবাদের জাইডাস ক্যাডিলা। এদিন তিন শহরের তিন সংস্থাতেই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক এবং সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ভ্যাকসিন প্রস্তুতি এবং মানবদেহে ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তাঁকে অবহিত করান গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সাপ্লাই এবং স্টোরেজ পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।