ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
জারা তোলি, বদাম ও মাহিলং। এই তিন গ্রামে শ’দেড়েক মানুষের বাস। তাঁদের বেশিরভাগই দিনমজুর। গ্রামে ঢোকার রাস্তার মুখে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। সেখানে পোস্টার সেঁটে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘প্রবেশ নিষেধ’। সঙ্গে লিখে দেওয়া হয়েছে করোনা মোকাবিলার সতর্কবাণী। এ প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমন গিরি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দিতে চাই— অন্যান্য গ্রামও এই নীতি অনুসরণ করুক। প্রশাসনের থেকে কিছু আশা করার দরকার নেই। গ্রামবাসীরা নিজেরা বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিন। বিচ্ছিন্ন হলেই করোনা ভাইরাস থেকে রেহাই মিলবে।’
সোহরাই মুন্ডা নামে এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণামতো লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে তবেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব। এমনকী, একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদেরও আমরা ঢুকতে দিইনি।’ দেশের তাবড় তাবড় শহর যখন বিধিনিষেধ ভেঙে ফেলছে, তখন নিয়ম মেনে ২১ দিন গৃহবন্দি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জারা তোলি, বদাম ও মাহিলং গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামেরই আর এক বাসিন্দা বদরু ওঁরাও। তিন সন্তানের বাবা। পেশায় দিনমজুর। শ্রমিকের কাজ করে দিনপিছু আয় ৩০০ টাকা। গত তিনদিন ঘর থেকে বেরতে পারেননি তিনি। এখন তো ২১ দিন বন্দি। ওঁরাও নিজেও জানেন না এতদিন কী করে সংসার চালাবেন! তবে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন করোনা রোধে বিধিনিষেধ মেনে চলার পণ নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি চাই না পরিবারের মধ্যে কেউ সংক্রামিত হোক। রাজ্য সরকারকে দু’মাসের রেশন আগাম দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’