উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
দলের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা আজ এআইসিসিতে বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ছ’টি ডিজেল সাবমেরিন তৈরির জন্য পাঁচটি কোম্পানি আবেদন জমা করেছিল। এগুলি হল লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড, মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড, রিলায়েন্স নেভাল অ্যান্ড ইঞিনিয়ারিং লিমিটেড, হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড লিমিটেড (এইচএসএল) এবং আদানি ডিফেন্স-এইচএসএল জয়েন্ট ভেঞ্চার। সুরজেওয়ালা বলেন, এর মধ্যে আদানির সাবমেরিন তৈরির বিন্দুমাত্র অভিজ্ঞতা নেই। তাই কন্ট্রোলার অব ওয়ারশিপ প্রোডাকশন অ্যান্ড অ্যাকিউজিশনের নেতৃত্বে নৌ বাহিনীর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সরকারি সংস্থা মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এবং লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড — এই দুটি সংস্থাকে নির্বাচন করে। কিন্তু নৌবাহিনীর বক্তব্য খারিজ করে নিয়ম ভেঙে সেই আদানিকেই সাবমেরিন তৈরির বরাত দিতে চলেছে মোদি সরকার। দু একদিনের মধ্যে সেই চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে সরকারের ওপর মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন সুরজেওয়ালা।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। এক হাজার কোটি টাকার বেশি খরচের সাবমেরিন তৈরি করতে গেলে যেখানে কোনও কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং ‘এ’ হওয়া আবশ্যিক, সেখানে আদানি ডিফেন্সের তা নেই। অথচ আদানিকেই বরাত পাইয়ে দিতে হবে বলেই কি ক্রেডিট রেটিং ‘এ’ থেকে কমিয়ে ‘ট্রিপল বি’ করা হল? প্রশ্ন তুলে সুরজেওয়ালার অভিযোগ, হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ড লিমিটেড বা এইচএসএল সরকারি সংস্থা হলেও তার সঙ্গে আদানির জয়েন্ট ভেঞ্চার করার শেষ দিন ছিল ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। শেষ তারিখ পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। তৈরিই হয়নি এসপিভি অর্থাৎ স্পেশাল পারপাস ভেহিকল। এরপরেও কেন তাদের বরাত দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ মহল এত আগ্রহী? তোপ দেগেছেন সুরজেওয়ালা।
কিন্তু চুক্তি তো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তাহলে? রাফালের ক্ষেত্রেও একইভাবে কংগ্রেস মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে? প্রশ্ন করায় সুরজেওয়ালা বলেন, প্রতিরক্ষার প্রশ্নে কংগ্রেস সর্বদা সজাগ। তাই রাফালেও যেভাবে দুর্নীতির তথ্য সামনে এনে মোদি সরকারের সন্দেহজনক আচরণ গোটা দেশের কাছে তুলে ধরা হয়েছিল, একইভাবে সাবমেরিন তৈরির ক্ষেত্রেও কেন সরকারের উদ্যোগে স্বচ্ছতা নেই, তা জানতে চাই। তিনি বলেন, নৌবাহিনী না বলার পরেও সরকারের উচ্চ মহল থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে কেন এই চুক্তিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটাই নরেন্দ্র মোদিকে উত্তর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর জবাব না পাওয়া পর্যন্ত এই সাবমেরিন চুক্তির বিষয়টি নিয়ে সরব হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।