বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
২০১৯ সালের সংশোধিত ওই বিলের ব্যাপারে সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থাওয়ারচাঁদ গেলট বলেন, প্রবীণ নাগরিকদের সন্তানাদি যদি তাঁদের উপর শারীরিক, মৌখিক, মানসিক এবং আর্থিক নিগ্রহ, অবহেলা করে বা তাঁদের পরিত্যাগ করে তাহলে সংশোধিত ওই আইনের নিরিখে অভিযুক্তদের শাস্তি হবে। এছাড়া প্রবীণদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ফলে তাঁরা আহত হলেও অভিযুক্তদের নয়া আইনের নিরিখে শাস্তি হবে। ওই বিলে প্রবীণ নাগরিকদের ‘সন্তানাদি’ হিসেবে নিজের ছেলে বা মেয়ে, দত্তক পুত্র বা কন্যা, জামাতা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনির কথা বলা হয়েছে। এবং ‘বাবা-মা’ হিসেবে নিজের বাবা ও মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ঠাকুর্দা ও ঠাকুমা ও দাদু-দিদিমার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁরা প্রবীণ নাগরিক না হলেও নয়া আইনের নিরিখে অভিযুক্তদের শাস্তি হবে। প্রসঙ্গত, প্রবীণ নাগরিক ও বাবা-মায়েরা যাতে যথাযথ সেবা এবং যত্ন পান, সেটাই সংশোধিত ওই নয়া বিলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। আরও জানা গিয়েছে, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকরা আবেদন করলে, ৬০ দিনের মধ্যে তাঁদের সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে। এবং ৮০ বছরের নীচে কোনও প্রবীণ নাগরিক আবেদন করলে ৯০ দিনের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধান করার কথা খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া প্রবীণ নাগরিক ও বাবা-মায়ের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকের জন্য প্রত্যেক থানায় এএসআই পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। একইভাবে প্রত্যেকটি জেলায় প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যা খতিয়ে দেখতে বিশেষ পুলিস ইউনিট রাখার কথা বলা হয়েছে। ওই ইউনিটের নেতৃত্বে থাকবেন ডিএসপি পযমর্যাদার অফিসার।
সংশোধিত ওই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি যৌথ পরিবার প্রথা প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এবং তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলা বা পরিত্যাগ করার প্রবণতা। তাই এহেন পরিস্থিতি রুখতে দেশের বহু হাইকোর্ট অনেক আগেই ২০০৭ সালের ওই আইনকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল। বিভিন্ন সচিবালয় থেকে এব্যাপারে নানা ধরনের প্রস্তাব আসার পরই নয়া ওই সংশোধিত বিল এদিন লোকসভায় নিয়ে আসা হয়।
নয়া এই বিলে প্রবীণদের স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বিলের নিরিখে প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রবীণদের জন্য বিশেষভাবে বেডের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া যেকোনও সমস্যার কথা জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করার কথাও ওই খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।