গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কলকাতায় যোধপুর পার্ক বয়েজ, যোধপুর পার্ক গার্লস, তীর্থপতি ইনস্টিটিউশন, এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তনের মতো স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও রয়েছে। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘এখনও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। ক্লাসরুমের সব বেঞ্চ বাইরে। তাই শিক্ষকরাও ঢুকতে পারছেন না। স্কুলের পাম্প, ফ্যান, লাইট একটানা চলছে। সেগুলি কতটা ভালো থাকবে, সেটাই ভাবছি। এদিকে, সাতদিন আগে নো ড্যামেজ বলে শংসাপত্র দিয়ে দিয়েছি। আখেরে কী হবে জানি না। বিদ্যুতের বিলও স্কুলকে বহন করতে হবে কি না, বুঝতে পারছি না। ডিআইকে বিষয়টি জানিয়েছি। থানাতেও জানাব। আর জওয়ানরা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ না এলে তাঁরা ক্যাম্পাস ছাড়বেন না।’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘গরমের জন্য নিচু ক্লাসে হাজিরা ৫০ শতাংশের কম। তবে, একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণিতে হাজিরা ৭০ শতাংশ বা তার বেশি ছিল। নিচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রী যারা এসেছিল, গরমের জন্য তারা মিড ডে মিলও খায়নি। অনেক অভিভাবক স্কুল চলাকালীনই সন্তানদের ছুটি দিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে স্কুল হাজির হয়েছিলেন। মিড ডে মিলের রান্না করা খাবার অনেকটাই নষ্ট হয়েছে।’
প্রধান শিক্ষকদের দাবি, প্রতি বছরই গরম বাড়তে থাকায় সরকারিভাবে গ্রীষ্মাবকাশ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তার ফলে অন্য সময়ে ছুটি কমানো যাবে। নাহলে সিলেবাস শেষ করা কঠিন হয়ে যাবে বিভিন্ন ক্লাসের। বিশেষ করে, একাদশের রেজিস্ট্রেশন চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুলে ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষকরা না আসতে পারলে তা ব্যাহত হবে। এই ক্লাসের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষাও সেপ্টেম্বরে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে ‘আযোগ্য’ হয়ে যাওয়া শিক্ষকরাও যথারীতি স্কুলে যোগ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও মুচলেকা তাঁদের থেকে নেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার নিজেরাই অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করছে। তাই পৃথকভাবে মুচলেকা নেওয়া হয়নি বলে খবর।