সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
সিবিআই টিম প্রথমে ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিজুয়া গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতে যান। সেই সময় ওই নেতা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ান কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসার-কর্মীরা। অপর একটি দল ওই পঞ্চায়েতের ইছাগেড়িয়া গ্রামে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নন্দদুলাল মাইতির বাড়িতে হানা দেয়। নন্দবাবুর ছেলে বুদ্ধদেব ওই মামলায় অভিযুক্ত। বাবা-ছেলে কেউই বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে ঢুকে নথিপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে তারা। ওই কাজে বাধা দেন বাড়ির মহিলারা। এনিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা বিকাশ বেজ, তাঁর খুড়তুতো ভাই তাপস বেজ, শিউলিবাড়ি বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গুরুপদ জানার খোঁজে তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআইয়ের টিম। প্রত্যেকের বাড়ি ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এছাড়া প্রায় ২০-২৫ জন গ্রামবাসীর বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। তাঁদের অনেকের সঙ্গে ওই মামলার কোনও যোগ নেই। ভাজাচাউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পর সিবিআই টিম লাগোয়া এগরা-২ ব্লকের বাথুয়াড়ি গ্রামে হানা দেয়।
২০২১ সালে ৩০মার্চ বিধানসভা ভোটের দু’দিন বাদে কাঁথি থেকে বাইকে বাড়ি যাওয়ার পথে খুন হন বিজেপি কর্মী জন্মেজয় দোলই। তাঁর বাড়ি এগরা-২ ব্লকের বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পদ্মা গ্রামে। এগরার ওই একটিমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত কাঁথি উত্তর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। কাঁথি-৩ ব্লকের ভাজাচাউলি লাগোয়া বাথুয়াড়ি পঞ্চায়েত। মৃতের মেজ ছেলে রতন দোলই মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই মামলার তদন্তভার পায়।
কাঁথি উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত ভাজাচাউলি ও বাথুয়াড়ি পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রচণ্ড শক্তিশালী। এবারের ভোটে বিজেপি একাধিক জায়গায় পোলিং এজেন্ট বসানোর মতো অবস্থায় নেই। ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে শাসক দলের অভিযোগ। এক মাস আগে ওই মামলায় ৩০ জনকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে তাঁরা কেউ হাজির হননি।
কাঁথি-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নন্দদুলাল বলেন, ভোটের সময় সিবিআইকে লাগিয়ে ভাজাচাউলি ও বাথুয়াড়ি দখল করতে চাইছে বিজেপি। দীঘায় অফিসারদের থাকা ও খাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের হাতে তৃণমূলের বাছাই করা নেতা-কর্মীদের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির এই উদ্দেশ্য সফল হবে না। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপকুমার দাস বলেন, একটা খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি অভিযুক্তদের বাড়ি গেলে অসুবিধা কোথায়!