সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য-রাজ্যপাল টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য নাম পাঠাচ্ছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য সেই তালিকার সঙ্গে সহমত হচ্ছেন না। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে বলেই রাজ্য সরকারের দাবি। আর এই ইস্যুতেই রাজ্য-রাজ্যপাল উভয়পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে বেঁধে যায় বিতর্ক। রাজ্যের হয়ে ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, রাজ্যপালের হয়ে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি এবং জয়দীপ মজুমদার। ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’টিতে নিয়োগ হয়েছে। আচার্যের আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যের পাঠানো তালিকার সাতজনকে যোগ্য বলেই মনে করেননি রাজ্যপাল।’
কিন্তু বাকি আটজনের কী হল? তাঁদের কেন নিয়োগ হয়নি? রাজ্যপালের আইনজীবীকে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ‘এখনও বাকি নাম বিচারের জন্য দেখাই হয়নি।’ এই জবাব শুনেই আচার্যের আইনজীবীকে তোপের মুখে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সূর্য কান্তর মন্তব্য, ‘আপনারা যখন আদালত কক্ষে ঢুকেছেন, তখনই বোঝা গিয়েছে কিছু গোলমাল আছে। ২১ বছর হল বিচারপতির আসনে রয়েছি। আগে থেকেই আন্দাজ করতে পারি।’ এরপরই সতর্ক করে বিচারপতি বলেন, ‘অযথা রাজনীতি বাঞ্ছনীয় নয়। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করুন। উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে আপনাদের আচরণ মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’
রাজ্যের আইনজীবী সিংভি বলেন, ‘৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাজ্য সরকার ৬২ জনের নামের তালিকা রাজ্যপালকে পাঠিয়েছে। আচার্যের অফিসের এটাই তো সমস্যা। রাজ্যের সঙ্গে কথাই বলে না। নিজেরাই ঠিক করছে। আপত্তির কথাও জানায় না।’ রাজ্যপালের আইনজীবীও পাল্টা কিছু বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু থামিয়ে দেন বিচারপতির বেঞ্চ। নির্দেশ দেয়, যে সাতজনের নাম আচার্যের পছন্দ হয়নি, তার বদলে রাজ্য সরকার আরও কিছু নতুন নাম রাজ্যপালের কাছে জমা দেবে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য সুপ্রিম কোর্ট সার্চ কমিটি গড়ে দেবে। আগামী ১২ জুলাই পরবর্তী শুনানি।