সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বিগত ২০১০ সালের ২৭ তারিখ রাত দেড়টা নাগাদ সরডিহা ও খেমাশুলি স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে রেখে মুম্বইগামী ট্রেনে নাশকতা ঘটায় মাওবাদীরা। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৪৯ জনের, জখম হয়েছিলেন ২০০ জনেরও বেশি। প্রিয়জনের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার দাবিতে ঝাড়গ্রাম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন হাওড়ার বেলুড়ের রাজেশ বাত্রা, সালকিয়ার যুথিকা আটা, হেয়ার স্ট্রিটের সুরেন্দ্র সিং এবং মণিপুর ইম্ফলের হাফিজুল্লাহ শা। নাশকতায় রাজেশবাবুর স্ত্রী ইন্দু এবং কন্যা স্নেহার মৃত্যু হয়। যুথিকা দেবী হারান তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎকে। নাশকতায় জীবনহানি হয় সুরেন্দ্রবাবুর স্ত্রী নীলম এবং দুই পুত্র রাহুল ও রোহিতেরও। ইম্ফলের বাসিন্দা হাফিজুল্লাহ হারিয়েছেন তাঁর ভাই সেনা কর্মী আহমেদ শা’কে। এই চারটি পরিবারের হয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন মেদিনীপুরের আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। তাঁর কথায়, পরিবারগুলি তাঁদের প্রিয়জনের মৃতদেহ পাননি। জোটেনি ডেথ সার্টফিকেটও। অথচ নাশকতার ঘটনার পরেই রেলের তরফে এককালীন পাঁচ লক্ষ এবং রাজ্য সরকারের তরফে আরও তিন লক্ষ টাকা মৃত ব্যাক্তিদের পরিবারকে দেওয়া হয়। বহুবার সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছেন। তীর্থঙ্করবাবুর অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ার কারণে ব্যাক্তিগত বিমা, সম্পত্তির উত্তরাধিকার এবং চাকরির দাবি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সালকিয়ার বাসিন্দা মৃত প্রসেনজিৎ আটার মৃত্যু প্রমাণপত্র যাতে দ্রুত মেলে, তার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও লিখেছিলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।