মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
কলকাতার রাজপথে এদিন ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে নেমেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ ‘আফসু’ একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। আবার প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা একটি বিশাল ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত সেই মিছিল যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অভিনব প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বামপন্থী সংগঠন উইমেন্স ইম্যান্সিপেশন। সেখানে একজন সদস্যকে কালি মাখিয়ে হায়দরাবাদের বলি সেই চিকিৎসকের প্রতীক হিসেবে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। তারা অন্য একটি উদ্যোগও নিয়েছে। এলাকাভিত্তিক মেয়েদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁদের যুক্ত করে নিচ্ছে। কেউ কোনও বিপদে পড়লে সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ করে সুরাহা পাবেন বলে সংগঠনের সদস্যরা জানান। শনিবার যাদবপুরে একটি মশাল মিছিলেও অংশ নিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তৈরি সংগঠনটির সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মোমবাতি মিছিলের নামে বিষোদ্গার করা হচ্ছে। মোমবাতি নিয়ে মিছিল নয়, দোষীদের বরং আগুনে পুড়িয়ে মারার মতো চরম পদক্ষেপের দাবি উঠছে বেশিরভাগ জায়গা থেকে। শনিবার হিন্দ সিনেমার কাছে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি বা সেদিনই গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির এন্টালি থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলে মোমবাতি ছিল ব্রাত্যই।
ফেসবুকে অনেকেই নিজের ফোন নম্বর দিয়ে জানাচ্ছেন, কেউ কোনও বিপদে পড়লে যেন তাঁকে ফোন করেন। বিপন্ন মহিলাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন অনেকে। আবার এই উদ্যোগকে ঠাট্টা করার লোকেরও অভাব নেই। কেউ যেমন বলছেন, সস্তায় নাম কেনার কৌশল। আবার কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এভাবে আদৌ সবাইকে বিশ্বাস করা যায় তো! কিন্তু এই স্বতঃস্ফূর্ততা এর আগে দেখা যায়নি। কুংফু, কারাটে, তাইকোন্ডুর মতো মার্শাল আর্ট বা আত্মরক্ষার কলাকৌশল শেখার পরামর্শও ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একাধিক দুষ্কৃতী যদি একজন তরুণীকে আক্রমণ করে, তাহলে কি আদৌ কয়েক মাসের প্রশিক্ষণে তাদের ঘায়েল করতে পারবেন! তার চেয়ে পুরুষদেরই ব্যাপকভাবে সচেতন করার, নারীদের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পক্ষে সওয়াল করছে নাগরিক সমাজ।