কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস, আইপিএস, বিশিষ্ট শিল্পপতি, বিজ্ঞানী-গবেষক সহ একগুচ্ছ গুণীজনকে দিয়ে প্রশাসনের কোর ক্ষেত্রগুলির বর্তমান সমস্যা এবং সমাধানের পথ খোঁজার খসড়া তৈরি হচ্ছে। যেখানে রাজ্যের কৃষি, শিল্প, উৎপাদন, পুলিস-প্রশাসন, আবাসন, পরিবেশ, উদ্বাস্তু সমস্যা সহ একাধিক বিষয় রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে বাংলা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কতটা পিছিয়ে রয়েছে, আরও উন্নতির সুযোগ কতটা রয়েছে, সবটাই খসড়া নীতিতে থাকবে। দলের আরও এক প্রভাবশালী নেতার কথায়, কেবল প্রশাসনিক ‘ক্রিমি লেয়ার’ নিয়ে বিজেপি আগ্রহী নয়। স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিখ্যাত মানুষদের নিয়ে তৈরি কমিটির রিপোর্টের পাশাপাশি রোজকার জীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ আমজনতার মতামতকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে রাজ্য সভাপতি কিংবা দলীয় এমপি, এমএলএ’দের দিয়ে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় চা-চক্রের আয়োজন করছে দল। সেখানে বিবিধ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে আমআদমির জন্য পৃথক ফর্ম ছাপানো শুরু হয়েছে। যার মাধ্যমে মানুষ নিজেদের জীবনযুদ্ধের রসদ লিখিতভাবে বিজেপি নেতাদের হাতে তুলে দিতে পারবেন। এভাবে রাজ্যজুড়ে বিবিধ বিষয়ে বঙ্গবাসীর মতামত সংগ্রহ করা হবে। সামাজিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র হিসেবে সেগুলি পৃথক করা হবে। তার মধ্যে থেকে জনতার বক্তব্যের নির্যাস ছেঁকে নেওয়া হবে। তার সঙ্গে বিশিষ্টজনেদের দেওয়া রিপোর্ট মিশিয়ে নয়া সরকার চালানোর দিশা তৈরি করা হবে। সূত্রের দাবি, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে দিলীপ ঘোষের হাতে বিশিষ্টদের দেওয়া খসড়া রিপোর্ট তুলে দেওয়া হতে পারে। আক্ষরিক অর্থেই বাংলায় সরকার গড়ার বিষয়ে গেরুয়া শিবির কতটা আত্মপ্রত্যয়ী, এই পদক্ষেপ থেকে তার ইঙ্গিত মিলছে। দিলীপ ঘোষের কথায়, ত্রিপুরা-অসমেও আমরা এভাবেই সাফল্য পেয়েছি এবং সরকারে আসার পর সাফল্যের সঙ্গে প্রশাসন চালাচ্ছি।