কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
জেএমবি জঙ্গিই এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মূল চ্যালেঞ্জ। তাদের আটকাতে সমস্ত রাজ্যকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে চাইছে এনআইএ। জোর দেওয়া হচ্ছে সমন্বয়ের উপর। যাতে কোনওভাবেই মাথাচাড়া না দিয়ে উঠতে পারে এই জেহাদি সংগঠনের সদস্যরা। সোমবার সব রাজ্যের এসটিএফ ও এটিএস অফিসারদের সঙ্গে এনআইএ কর্তাদের কনফারেন্সে ঘুরেফিরে বারবার এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর তারা যে আবার মডিউল তৈরি করেছে, তা তুলে ধরা হয় এদিনের কনফারেন্সে। এনআইএর ডিজি ওয়াই সি মোদির বক্তব্য, দেশের একাধিক রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে বাংলাদেশের এই জঙ্গি সংগঠন। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে তারা যথেষ্ট সক্রিয়।
তবে দক্ষিণ ভারতই যে জেএমবি’র অন্যতম ঘাঁটি, তা এনআইএ কর্তাদের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে। একাধিক মডিউল তৈরি করে তারা কাজ করছে। রাজমিস্ত্রির কাজের আড়ালে জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের নেতৃত্বে যারা রয়েছে, তারা সকলেই বাংলাদেশি। কোনও রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তারা এদেশে এসেছে বলে এনআইএর বক্তব্য। নতুন সদস্য নিয়োগ থেকে শুরু করে জেহাদি কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ তারাই দিচ্ছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। এনআইএর দাবি, এরাজ্যে জেএমবি সংগঠন চালাচ্ছে সালাউদ্দিন সালেহান। বাংলাদেশে বসেই সে সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনকী একাধিকবার সে ভারতে এসে জেহাদিদের নিয়ে বৈঠক করেছে। তার সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তের, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে সংগঠনের যারা মাথা, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। খাগড়াগড়কাণ্ডের পর ফের এরাজ্যে বড়সড় মডিউল তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য। সালাউদ্দিন ছাড়াও এরাজ্যে সক্রিয় আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গির নাম রয়েছে। এরাজ্য ছাড়াও অন্য রাজ্যে সক্রিয় জেএমবি সদস্যদের নামের তালিকা এদিন তুলে ধরা হয়। তাদের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে তথ্য আদানপ্রদানের উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে এনআইএ। যাতে জেহাদিদের পক্ষে রাজ্য পাল্টে বেশিদিন লুকিয়ে থাকা সম্ভব না হয়। তদন্তে উঠে এসেছে বাংলাদেশ থেকে ঘুরপথে এখানে জেএমবি সদস্যদের কাছে টাকা আসছে। এই মানি রুট বন্ধ করতে চাইছেন আধিকারিকরা। যাতে জেহাদিদের কাছে কোনওভাবেই টাকা না পৌঁছয়। পাশাপাশি তাদের ধরপাকড়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একযোগে জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশন চালানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।