কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সরকারি কর্মীদের সার্ভিস বুক খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি। চাকরি জীবনের যাবতীয় তথ্য এতে থাকে। বেতন হার, বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ছুটির হিসেব এখানে থাকে। সরকারি কর্মীর বদলি, পদোন্নতির সব উল্লেখ সার্ভিস বুকে থাকে। এককথায় কর্মীজীবনের যাবতীয় বিষয় এতে নথিভুক্ত থাকে। অবসরের পর পেনশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সার্ভিস বুক কাজে লাগে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কমর্চারী ফেডারেশনের মেন্টর কমিটির সদস্য মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কর্মী স্বার্থে সার্ভিস বুক করা খুবই জরুরি। তার জন্য সব দপ্তরেই ম্যানুয়াল সার্ভিস বুক আপডেট করার কাজে বিশেষ তৎপরতা প্রয়োজন
এখন ম্যানুয়াল সার্ভিস বুকের দু’টি কপি থাকে। মূল সার্ভিস বুক কর্মীর অফিসে কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকে। সার্ভিস বুকের একটি কপি কর্মীর কাছে থাকে। কর্মীর চাকরি জীবনে কোনও পরিবর্তন হলে তা দু’টি সার্ভিস বুকে নথিভুক্ত করে নেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক এটা করে থাকেন। কখনও কখনও সার্ভিস বুক অফিস থেকে হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে কর্মীর কাছে সার্ভিস বুকের যে কপি থাকে, সেটা দেখে নতুন সার্ভিস বুক তৈরি করতে হয়। সার্ভিস বুকে অনিয়ম, জালিয়াতি করার অভিযোগও ওঠার নজির আছে। জন্মতারিখ এদিক ওদিক করে দিয়ে অবসরের সময় পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনাও ঘটেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে সার্ভিস বুক হারিয়ে বা নষ্ট করে কোনও কর্মীকে হয়রানি করার অভিযোগও উঠেছে।
এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য ই-সার্ভিস বুক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন সরকারি কর্মীদের চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় কম্পিউটারে অনলাইনে হয়। এর জন্য এইচআরএমএস পোর্টাল তৈরি হয়েছে। শুধু সার্ভিস বুকটি ম্যানুয়াল রয়ে গিয়েছে। ই-সার্ভিস বুক হয়ে গেলে এটিও অনলাইনে চলে আসবে। ফলে তা নষ্ট হওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকবে না। কিন্তু ই-সার্ভিস বুক করতে গেলে কর্মীদের ম্যানুয়াল সার্ভিস বুকের অতীত রেকর্ডগুলি নথিভুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই ম্যানুয়াল সার্ভিস বুক আপডেট করে সর্বশেষ নথি সেখানে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হচ্ছে। তারপর সেই সার্ভিস বুক স্ক্যান করে কম্পিউটারে রেখে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে কর্মীর চাকরি সংক্রান্ত যে তথ্য যুক্ত হবে, তা সরাসরি কম্পিউটারে নথিভুক্ত করে নেওয়া হবে। কিন্তু সার্ভিস বুক স্ক্যান করার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না যতক্ষণ না তা আপডেট হচ্ছে। আপডেট করার তথ্য নিয়মিত ই-মেইল করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন দপ্তর।