উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বর্তমানে প্রাক প্রাথমিকে তিনটি বই রয়েছে— বিহান, কাটুম-কুটম এবং মজারু। তার মধ্যে মজারু হচ্ছে বাচ্চাদের শব্দের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য। শিক্ষকরা মুখে মুখে বলবেন, আর তাতে নানা শব্দের সঙ্গে পরিচিত হবে খুদেরা। কাটুম-কুটুম বইয়ে বাচ্চারা ছবি আঁকা, রং করার পাশাপাশি ছবির সঙ্গে পরিচয়ের মতো বিষয় শিখতে পারবে। তবে এবার বর্ণের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য উদ্যোগী শিক্ষাদপ্তর। প্রথম শ্রেণীতে অবশ্য সহজ পাঠ রয়েছে। প্রাক প্রাথমিকে বর্ণ পরিচয় ঢুকিয়ে দিয়ে বুনিয়াদি শিক্ষার বৃত্ত সম্পূর্ণ করাই লক্ষ্য, এমনই মত শিক্ষাকর্তাদের। সিলেবাস কমিটির এক কর্তার কথায়, বর্ণ পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই এ নিয়ে জানানো হবে।
তবে শিক্ষামহলের প্রশ্ন, এত দেরিতে কেন বর্ণ পরিচয় চালু করার কথা ভাবা হল? ২০১২ সালের পর সিলেবাস কমিটি বিভিন্ন শ্রেণীর সিলেবাস ঠিক করেছে। প্রথম থেকেই কেন বাচ্চাদের সিলেবাসে বর্ণ পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করা হল না? এর অবশ্য কোনও উত্তর মেলেনি। তবে দপ্তরের কেউ কেউ বলছেন, বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য সরকার নানা পরিকল্পা নিয়েছে। স্কুল-কলেজে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বেশকিছু কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। সিলেবাসে বর্ণ পরিচয়কে ঢোকানোও তার একটি অঙ্গ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার পাঠ্যক্রমে বর্ণ পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে যেভাবে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, তাতে আগামী শিক্ষাবার্ষেই হয়তো প্রাক প্রাথমিকে এটি দেখা যাবে। দপ্তরের কেউ কেউ বলছেন, এটি এমন একটি বিষয় যে, কোনও বিরোধিতা বা আপত্তি আসবে না। সেক্ষেত্রে সিলেবাস কমিটি এবং দপ্তর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।