আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সোনারপুরের প্রসাদপুর অঞ্চলের একটি স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সেসব সেরে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন স্কুলের কিছুটা দূরেই বাইকে করে ওই তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় আসে। তিন ছাত্রীর সঙ্গে এক সিনিয়র ছাত্রও ছিলেন। প্রথমে তাঁদের দেখে কটূক্তি করে তারা। এরপরই শুরু হয় গালিগালাজ। প্রতিবাদ করতেই প্রথমে মারধর করা হয় ওই ছাত্রকে। তারপর ওই তিন ছাত্রীকে কিল, চড় ঘুষি এমনকী চুলির মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা দেখে দৌড়ে এসে প্রতিবাদ করেন দ্বাদশ শ্রেণির আরেক ছাত্রী। তাঁকেও হুমকি দেয় ওই যুবকের দল। ‘এখানে ফেলে রেপ করে দেব’ বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর দাবি, বারবার ওই কথা বলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ছাত্রীদের মারধর করতে দেখে পাড়ার এক মহিলা দৌড়ে আসেন তাদের বাঁচাতে। তাঁকেও পর্যন্ত রেহাই দেয়নি ওই তিনজন। অভিযোগ, ওই মহিলাকেও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধর করা হয়েছে। ছাত্রীদের চিৎকার চেঁচামিতে আশপাশের লোক জড়ো হতেই ওই যুবকরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ছাত্রীরা স্কুলে ফিরে যান। ভয়াবহ ঘটনাটি তাঁরা প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ মণ্ডলকে জানান।
আক্রান্ত ছাত্রীরা বলে, আমরা স্কুল থেকে ফেরার সময় ওই তিন যুবক আমাদের পথ আটকায়। ওরা জাস্টিস জাস্টিস বলে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসছিল। আমাদের দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করে, জাস্টিস মানে জানিস? না বলতেই, ওরা চড়াও হয় আমাদের উপর। তারপরে শুরু হয় মারধর। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের বাইরে ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ঘটনা হবে, তা ভাবতেও পারছিনা। পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখছে। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক স্বরূপ রায় বলেন, সারাদিন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরকম ঘটনা কানে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।